সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

‘নিয়মিত টেস্ট খেললে ভালো অবস্থানে যেতে পারব’

হাঁটি হাঁটি পা পা করে সাদা পোশাকে ২০০০ সালে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ আজ দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে ১৬ বছর পূর্ণ করল। শুরুর থেকেই টেস্ট ক্রিকেটে ‘টেস্ট’ দিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। কেন বাংলাদেশ টেস্টে? এর উত্তর খুঁজতেই ব্যস্ত অনেকে। সমালোকদের মুখ বন্ধ করতে পারেনি কেউ। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বরারবই বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু আজ তারা বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। টেস্ট ক্রিকেটের ছোট্ট ‘শিশু’ আজ পরিণত। বাংলাদেশ খেলতে শিখেছে, লড়তে শিখেছে, জিততে শিখেছে, হারাতে শিখেছে। সাদা পোশাকে বাংলাদেশকে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। তার হাত ধরেই গত দুই বছর টেস্টেও সাফল্য পেয়ে আসছে বাংলাদেশ। আজ মাইলফলকের দিনে আবার টেস্ট নিয়ে কথা বললেন মুশফিকুর রহিম। পাঠকদের জন্য তা দেওয়া হল:

প্রশ্ন : টেস্টে ১৬ বছর কেমন ছিল এবং আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জটা কী?

মুশফিকুর রহিম : বাংলাদেশ দল অবশ্যই এ ১৬ বছরে আরও ভাল অবস্থায় থাকতে পারত। আপনি যদি এক/দুই বছর পরপর একটা করে টেস্ট খেলেন তাহলে এ ফরম্যাটে ভালো করা কঠিন। সর্বশেষ সিরিজটাতে আমরা যে পারফরম্যান্স করেছি, আশা করব ভবিষ্যতে অন্তত টেস্ট ম্যাচ কিছুটা বেশি খেলা হবে। খেলাগুলোতে যদি আমরা ভাল পারফরম্যান্স করতে পারি বাংলাদেশ দল আরও এগিয়ে যাবে। একটাই পার্থক্যই এখন সবার চোখে বেশি পরছে, বাংলাদেশ দলে এখন পারফর্মারের সংখ্যা অনেক বেশি। যেটা আপনারা টেস্টেও দেখেছেন, অনেকে পারফর্ম করেছে। এটা একটা ভালো দিক। আমরা যদি নিয়মিত টেস্ট খেলি আশা করছি দুই বছরের মধ্যে একটা ভাল অবস্থানে যেতে পারব। আমাদের বেশি গুরুত্ব থাকবে আমরা ঘরের মাটিতে যেমন ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলেছি তেমন করে যেন বাইরেও ভাল খেলতে পারি। আগামী বছর আমাদের ৯ থেকে ১০টা টেস্ট আছে যার মধ্যে বিদেশেই অধিকাংশ। আপাতত লক্ষ্য আছে সেটাই এবং সেই ধারাবাহিকতাটা যেন বজায় থাকে।

 

প্রশ্ন : আমাদের শক্তিমত্তার বিষয়টি চিন্তা করে ইংল্যান্ড সিরিজে খেলেছি। এটা আরেকটু আগে থেকে চিন্তা করলে ভাল হতো কিনা?

মুশফিকুর রহিম : এটা বেশ কঠিন প্রশ্ন। আসলে আগে তো আপনার শক্তিমত্তাটা কোথায় সেটা আগে বুঝতে হবে। আপনার দলের যদি শক্তিই না থাকে আগেভাগে কোনকিছু পরিকল্পনা করে প্রস্তুত হওয়া কঠিন। আবার প্রতিপক্ষকে নিয়েও ভাবতে হবে। এটা যদি উপমহাদেশের কোন দল হয়, ওদেরও বিশ্বমানের কিছু স্পিনার থাকবে এবং নিজেদেরও সামলাতে হবে তাদের। সার্বিকভাবে একটা পরিকল্পনার অবশ্যই ব্যাপার আছে। আমার মনে হয় এখনও দেরি হয়ে যায়নি, বরং ভালো সময়েই শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ দল ভালো খেলছে। আমরা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছি। এটা টেস্টেও কাজে দিয়েছে। ভবিষ্যতে এর ধারাবাহিকতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পরিকল্পনা আমরা সবসময়ই  করে থাকি। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। কিন্তু এবার আল্লাহর রহমতে প্রত্যেকটি খেলোয়াড়ই অনেক ভাল খেলেছে এবং এজন্যই বাংলাদেশ দল ফলাফলটা পেয়েছে।

 

প্রশ্ন : টেস্ট ক্রিকেটে আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে কিনা?

মুশফিকুর রহিম : অবশ্যই। আপনি যত বেশি টেস্ট খেলবেন ততোবেশি ভাল করার সুযোগ থাকে। সেদিক থেকে বলব গত ১০/১৫ বছর বাংলাদেশ তেমন বেশি টেস্ট খেলেনি যার কারণে দক্ষতাসম্পন্ন যেসব খেলোয়াড় আছে তারা পারফর্ম করার সুযোগ পায়নি। যেমন,আমাদের মুমিনুল কিন্তু শুধু এই একটা ফরম্যাটেই খেলে। এটা অনেক কঠিন। প্রায় এক/দেড় বছর পর এমন করে এসে টেস্ট খেলা তার জন্য অনেক কঠিন। তবে আমি বলব দলগতভাবে আমাদের শুরুটা অন্তত ভাল হয়েছে।

 

প্রশ্ন : ২০১৭ সালটাই কি আপনি মনে করেন মাইলস্টোন সেট করার সুযোগ?

মুশফিকুর রহিম : ২০১৭ সালটা অবশ্যই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। কারণ আর কোন বছরে আমরা হয়তো ৯/১০টা টেস্ট খেলিনি! এটাও আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা আশা করব এই চ্যালেঞ্জটা নিতে। আমাদের আসলে এখনও প্রমাণ করার অনেক কিছু বাকি আছে যে আমরা বাইরে গিয়ে কিরকম খেলি। এজন্য আমাদেরকে, মানে অন্তত ব্যাটসম্যানদের অনেক দায়িত্ব নিতে হবে। আশা করব যে নিউজিল্যান্ড সফর থেকেই আমরা যেন সেটা শুরু করতে পারি।

 

প্রশ্ন : এখন টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে এই ১৬ বছর পর দলটাকে দেখে আপনার সন্তুষ্টির জায়গা কোথায়?

মুশফিকুর রহিম : গত কয়েক বছর ধরেই আমি অধিনায়কত্ব করছি। আমার সন্তুষ্টির জায়গা বলতে আমি বলব যে আমাদের দলে এখন পারফর্মারের সংখ্যা অনেক বেশি। এটা যেকোন অধিনায়কের জন্যই অনেক বড় পাওয়া। কারণ, আপনার দলে যখন ৫/৬ জন বোলার থাকবে আবার ৭/৮ জন ব্যাটসম্যান থাকবে সেটা অনেক বড় পাওয়া। সেক্ষেত্রে বলব যে আমি অনেক ভাগ্যবান আল্লাহর রহমতে এখন অনেক ভাল পারফর্মার আছে। দলে শুধু পারফর্মার থাকলে হবেনা, তাদের পারফরম্যান্সও করতে হবে। আশা করছি যে এতদিন তারা যেমন করেছে, আগামী বছরেও সেটা করতে পারে আমরা টেস্টেও ভাল করব। আগামী বছর টেস্টগুলোতে ভাল করতে পারলে সেটা বিশ্বব্যাপিই আমাদের অনেক নাম হয়ে যাবে। আশা করব এই ফোকাসটাই যেন সবার থাকে।

 

প্রশ্ন : ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই টেস্টে ৪০ উইকেট নিয়েছি। বিদেশের মাটিতে আমাদের এই সামর্থ্য আছে কিনা?

মুশফিকুর রহিম : অবশ্যই সামর্থ্য আছে। এই বিশ্বাসটাতো অবশ্যই থাকতে হবে। বরং আমি মনে করি যে নিউজিল্যান্ডে যত সিমিং কন্ডিশনই হোক আমাদের সিম বোলার অনেক ভালো। ২০১৫ বিশ্বকাপেও দেখেন আমাদের সিম বোলাররা অনেক ভাল বোলিং করেছে অন্য দলগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে।  আমি বলব যে সিমিং কন্ডিশন হলেও আমাদের অনেক ভাল সিমার আছে যারা কিনা ২০ উইকেট নেওয়ার মতো। আশা করছি যারাই সুস্থ আছে এবং যারা ইনজুরি থেকে ফিরবে, মুস্তাফিজও আসবে তারা যদি নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স করতে পারে তাহলে টেস্টের ২০ উইকেট নেয়ার সক্ষমতা আমাদের অবশ্যই আছে। কিন্তু মূল চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে ব্যাটসম্যানদের, বোর্ডে রান দিতে হবে। সেটাই মূল চেষ্টা থাকবে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে আজ ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।বিস্তারিত পড়ুন

বিপিএলে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বরিশাল

বিপিএলের ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিং করে রেকর্ড রান সংগ্রহ করে প্রথমবিস্তারিত পড়ুন

শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনেও আগুন

রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার ৫ নম্বর সড়কে আওয়ামী লীগ সভাপতিবিস্তারিত পড়ুন

  • আজীবন সম্মাননা পেলেন টেন্ডুলকার
  • কিস্তিতে খেলোয়াড়দের বকেয়া শোধ করবে ‘দুর্বার রাজশাহী’
  • টানা ৮ ম্যাচ জেতার পরও এলিমিনেটরে হেরে রংপুরের বিদায়
  • বড় জয়ে সেরা আটে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখল রিয়াল
  • নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
  • প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
  • নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
  • ভারতের বিপক্ষে ১৩৩ রানের বিশাল পরাজয় বাংলাদেশের
  • আলোক স্বল্পতায় তৃতীয় দিনের খেলা শেষ, বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ৩৫৭
  • বাংলাদেশ-ভারত সিরিজে হামলার হুমকির পর এবার বয়কটের ডাক
  • বাংলাদেশ-ভারত সিরিজে থাকবেন তামিম!
  • খেলার মাঝেই সন্তানের সুসংবাদ, উইকেট পেয়ে উদযাপন শাহিন আফ্রিদির