নীলফামারীতে জেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিতকারী বিএনপি নেতা আটক
ক্রাইম রিপোর্টার নীলফামারীঃ- সদ্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট না দেয়ায় নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান সিহাবকে লাঞ্চিত করেছে ১৫নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত সদস্য প্রার্থী কিশোরীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য হোসেন শহীদ সোহারাওয়ার্দী, ওরফে গ্রেনেড বাবু।আর সেই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রেনেড বাবুকে আটক করেছেন পুলিশ।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, গত ২৮ ডিসেম্বর বুধবার দেশের ৬১টি জেলার মধ্যে নীলফামারী জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে তালা প্রতীক নিয়ে প্রতীদ্বন্দ্বীতা করেন কিশোরীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সদস্য- হোসেন সহীদ সোহারাওয়ার্দি ওরফে গ্রেনেড বাবু।
বাবু মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদর রহমান সিহাবেরর কাছে জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি ভোটার হওয়ায় সুবাধে তার কাছে সদস্য প্রার্থী হয়ে ভোট প্রার্থনা করেন।কিন্তু ওই চেয়ারম্যান তাকে ভোট দিতে অস্বীকৃতি জানায়।আর ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়।তাতে ওই ফলাফলে সে পরজিত হয় বাবু।
সেই ক্ষোভে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) কিশোরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদে এলজিএসপি প্রকল্পের সভা হয়। সভা শেষে অন্যান্য ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সিহাবও উপজেলা মসজিদে যোহরের নামাজ আদায় করে বের হতেই গ্রেনেড বাবু তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। হামলায় কিলঘুষি ও লাথি মারতে মারতে সিহাবের পকেটে থাকা ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন বাবু।পরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে থাকা লোকজন এগিয়ে আসলে গ্রেনেড বাবু ও তার লোকজন পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহত চেয়ারম্যান সিহাবকে উদ্ধার করে কিশোরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তিনি এবিষয়ে সে দিনই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তবে অভিযুক্ত হোসেন শহীদ সোহারাওয়ার্দি গ্রেনেড বাবু উল্টো অভিযোগ করে জানান, মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদের (৩,৪,৫ ওয়ার্ড সদস্য) সংরক্ষিত সদস্য শিল্পী আক্তার আমার ভাবী। তিনি যেন আমাকে ভোট না দেন এজন্য ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুর হোসেন সিহাব আমার ভাবীকে নানান রকমের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ভোটের দিন বুধবার আমার ভাবী আমাকে ভোট দিয়ে বাড়ী ফিরছিলেন। এমন সময় কিশোরীগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডের সামনে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুর হোসেন সিহাব আমার ভাবী শিল্পী আক্তার ও ভাই জুয়েলকে আটক করে লাঞ্চিত করে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ইউপি চেয়ারম্যানকে পেয়ে ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছি মাত্র।
কিশোরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বজলুর রশীদ বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুর হোসেন সিহাব বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে বিকাল পনে পাঁচটার দিকে অভিযুক্ত হোসেন শহীদ সোহারাওয়ার্দী গ্রেনেড বাবুকে আটক করা হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নাতনিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দাদা আটক নীলফামারীতে
নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ৬০ বছর বয়সীবিস্তারিত পড়ুন
নীলফামারীর জলঢাকায় ট্রাক চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু !
এম ইসলাম সুজন,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ- নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ডোমার সড়কের দুন্দিবাড়িবিস্তারিত পড়ুন
নীলফামারীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ইটবোঝাই ট্রলির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে নিহতবিস্তারিত পড়ুন