নূর হোসেনকে রিমান্ডে না নেওয়ায় ক্ষোভ
আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আবেদন না-করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহতদের স্বজনরা।
এদিকে, নূর হোসেনের সহযোগীরা এলাকায় ফিরে নিহত সাত জনের পরিবারের সদস্যদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেছেন। এতে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি প্রধান আসামি নূর হোসেনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে না নিয়ে জেলহাজতে পাঠানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে না-রাজি দিয়ে নারায়ণগঞ্জের আদালতে বিচার পাইনি। এ বিষয়ে এখন আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
সাত খুনের মামলায় আদালতে পুলিশের দেওয়া চার্জশিটে পাঁচ আসামিকে বাদ দেওয়া হয়। এই চার্জশিটের বিরুদ্ধে না-রাজি দেন মামলার বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটি। আদালত তার না-রাজি আবেদন খারিজ করে দেন।
তিনি বলেন, ‘নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনার সঙ্গে সঙ্গেই তার সহযোগীরা এলাকায় ফিরতে আসতে শুরু করেছে। তারা আমাদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। আমাদের লোকজনকে মারধর করছে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
সেলিনা ইসলাম বিউটি বলেন, ‘মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই অসম্পন্ন একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। আমরা চাই, নূর হোসেনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং নতুন করে তদন্তের মাধ্যমে এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হোক।’
নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, ‘সাত খুনের মামলার অভিযোগপত্র থেকে যে সকল আসামিকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তাদের এবং নূর হোসেনের সহযোগীদের অত্যাচারে আমরা ঘর থেকে বের হতে পারছি না। প্রতিনিয়ত আমাদের অত্যাচার ও হয়রানি করছে।’
তিনি বলেন, ‘নূর হোসেনকে কে বিদেশে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে? কার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে? এগুলো তদন্ত করলে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে আর কারা জড়িত, তা বেরিয়ে আসবে। আমরা চাই নূর হোসেনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আড়ালে থাকা খুনীরা বেরিয়ে আসবেন।’
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ শহরের কাছ থেকে পৌর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাত জন নিখোঁজ হয়। এর তিনদিন পর সাত জনেরই মৃতদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে পাওয়া যায়।
এই ঘটনায় আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে দুটি মামলা করা হয়। অভিযোগ করা হয়, নূর হোসেনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে তাঁর প্রতিপক্ষকে খুন করেছে র্যাব।
মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ র্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, কর্মকর্তা মেজর (অব) আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার (অব) এম এম রানাকে গ্রেপ্তার করে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার আরেক আসামি নূর হোসেন পালিয়ে ভারতে গেলেও সেখানে ধরা পড়েন। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন