নূর হোসেনের সাম্রাজ্য এখন যাদের নিয়ন্ত্রণে
সাত খুন মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নূর হোসেনের রেখে যাওয়া সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন তারই ঘনিষ্ঠজনরা। তার ভাই, ভাতিজা ও তার ঘনিষ্ঠ সিটি করপোশেনের কাউন্সিলর আরিফুল হাসান এখন এই সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করছেন।
সাত খুনের পরই পরিবার-পরিজন নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে যায় নূর হোসেন। এলাকাছাড়া হন নূর হোসেনের পাঁচ ভাই, ভাতিজা ও কাউন্সিলর আরিফুল হাসানসহ তার সমর্থকরাও।
২০১৫ সালে নূর হোসেনকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। এই সুযোগে নূর হোসেনের ভাই ও ভাতিজারা আস্তে আস্তে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে। নূর হোসেনের রেখে যাওয়া বিভিন্ন অবৈধ সম্পদ নিজেদের করার পাশাপাশি জমি দখল, ফুটপাতে চাঁদাবাজি, শীতলক্ষ্যার ঘাট দখল, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণসহ নানা অপকর্ম শুরু করেন। কেউ বিরোধিতা করলে তাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়।
বর্তমানে নূর হোসেনের সাম্রাজ্য দখল করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছেন যারা তাদের মধ্যে আছেন নূর হোসেনের বড় ভাই নূর সালাম, নূর ইসলাম, নূর উদ্দিন, নূরুজ্জামান জজ, ভাতিজা সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহ জালাল বাদল এবং নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আরিফুল হাসান।
এদের মধ্যে নূর হোসেনের বড় ভাই নূর সালাম ও নূর ইসলাম সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়, বাগমারা, টেকপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার জমি দখল করছেন। পরিবহন সেক্টর ও ফুটপাতে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করেন ভাতিজা শাহ জালাল বাদল।
শীতলক্ষ্যা নদীর ঘাটে বালু, পাথরের ব্যবসা, শিমরাইল এলাকায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করেন নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠ আরিফুল হাসান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
উপদেষ্টা মাহফুজ: সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন,“গণ-অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থেবিস্তারিত পড়ুন
বড় ব্যবধানে অ্যান্টিগা টেস্টে হারলো বাংলাদেশ
চতুর্থ দিনেই অ্যান্টিগা টেস্টের ফল কোন দিকে গড়াচ্ছে, তা নির্ধারণবিস্তারিত পড়ুন
কিশোরগঞ্জে মা-বাবা ও ২ সন্তানের মরদেহ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় একই পরিবারের চার জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেবিস্তারিত পড়ুন