নৃশংসভাবে মেয়ের গলা কেটে প্রেমিকের বাড়ির সামনে রেখে থানায় হাজির বাবা!
কিশোরী মেয়ের গলা কেটে তার মৃতদেহ প্রেমিকের বাড়ির দরজার সামনে ফেলে আসলেন বাবা। প্রকাশ্য দিবালোকে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটিয়ে দিলেন পাষণ্ড বাবা। মেয়েটিকে হত্যার কারণ খুবই সাধারণ। বাবার অমত থাকা সত্ত্বেও মেয়েটি তার প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিল। আর এটাই মেনে নিতে পারেনি কিশোরী ঐ মেয়েটির বাবা।
মেয়ের গলাকাটা দেহ ওই প্রেমিকের বাড়ির সামনে ফেলে রেখে তিনি পাশের পুলিশ স্টেশনে যান। সেখানে তার এই অপরাধের কথা স্বীকার করেন। ওই থানায় আত্মসমর্পন করেন বাবা।
ভারতের মুজাফফারনগর জেলার ছার্থাওয়াল গ্রামে গতকার বুধবার ঘটে যায় এই মর্মস্পর্শী ঘটনা। পুলিশ জানায়, ১৫ বছর বয়সী মেয়েটির বাবার নাম জব্বার কোরেশি। তিনি হকারি করে পোশাক বিক্রি করেন। ঘটনার দিন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। কিন্তু মা পাশের ঘর থেকে মেয়ে গুলসাবার কণ্ঠ শুনতে পাচ্ছিলেন। সে কারও সঙ্গে কথা বলছিল। বুঝলেন, তার রুমে কেউ আছেন।
এ অবস্থায় গুলসাবার মা মেয়ের ঘরের দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে দেন। স্বামীকে ফোন দিয়ে ঘটনা বলেন। ওই ঘরে গুলসাবা তার প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। পরে দেখা যায়, প্রেমিক দিলনওয়াজ আহমাদ তাদেরই প্রতিবেশী। প্রেমিকের পরিবারও চলে আসে। পুলিশেও খবর দেন মেয়েটির মা। পুলিশ এসে দিলনওয়াজকে এসে নিয়ে যায়। পরে গুলসাবার বাবা বাড়িতে আসেন। প্রচণ্ড ক্ষোভ নিয়েই তিনি বাড়িতে প্রবেশ করেন। গুলসাবা ভালোবাসতো দিলনওয়াজকে। এ কথা জানার পরও তিনি মেয়ের সঙ্গে কোনো কথাই বলেননি। চাকু দিয়ে মেয়ের গলা কাটেন, মৃতদেহটি বয়ে নিয়ে দিলনওয়াজের বাড়ির সামনে ফেলে আসেন। তারপর হেঁটে চলে যান পুলিশ স্টেশনে।
এ ঘটনায় উভয় পরিবার এবং এলাকার লোকজন হতভম্ব হয়ে পড়েছে। মেয়েটির এমন মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা এলাকা। তবে কোরেশিকে আটক করা হয়েছে বলে জানান ছার্থাওয়াল থানার কর্মকর্তা সঞ্জিব শর্মা। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন