নেইমারকে অন্যায়ের শিকার বলছে পরিসংখ্যানও
লুইস এনরিকে তো ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেই বসেছেন, ‘কে ঠিক করেছে, নেইমার উয়েফা বর্ষসেরার সেরা তিনে থাকবে না?’ বার্সেলোনা কোচের মতো প্রশ্নটা অনেকেরই। যার ভোট সে-ই দেবে, যাকে খুশি তাকে দেবে। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না। তবে পরিসংখ্যান বলছে, সামগ্রিক ফল বিবেচনায় অবশ্যই গত মৌসুমের সেরা তিন ফুটবলারের একজন ছিলেন নেইমার।
তালিকাটা যেহেতু তিনজনের, একজনকে বাদ যেতেই হতো। তবে নেইমারের বাদ যাওয়াটা কতটা যৌক্তিক, সে প্রশ্ন এসে যাচ্ছে গত মৌসুমে এ চার তারকার পরিসংখ্যান দেখে। রিয়ালের হয়ে গত মৌসুমে মূল শিরোপাগুলোর কিছু না জিতলেও ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারের সেরা সময় গেছে সিআর সেভেনের। ৫৪ ম্যাচে করেছেন ৬১ গোল। অন্য দিকে শিরোপাত্রয়ী জেতা মেসির ৫৭ ম্যাচে গোল ৫৮। শিরোপাত্রয়ী জেতা আরেক বার্সা তারকা নেইমার করেছেন ৫১ ম্যাচে ৩৯ গোল।
চ্যাম্পিয়নস লিগের যৌথ সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন এ ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড। এই তিনজনের তুলনায় সুয়ারেজের পরিসংখ্যানটা বেশ ম্লান, ৪৩ ম্যাচে ২৫ গোল। অবশ্য নিষেধাজ্ঞার কারণে মৌসুমের প্রথমে তিন মাস কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে পারেননি উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার, মাথায় রাখতে হবে এটিও। কিন্তু যদি সবার পারফরম্যান্স একই পাল্লায় মাপতে গড় করা হয়? সে ক্ষেত্রে কী বলছে পরিসংখ্যান? পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, বলের দখল হারানোর হার সবচেয়ে বেশি সুয়ারেজের—৯.৯ শতাংশ। এরপর নেইমার—৯.৪ শতাংশ। রোনালদোর সেখানে ৯ শতাংশ।
আর সবচেয়ে কম মেসির, ৭.৯ শতাংশ। প্রতিপক্ষের জন্য হুমকি হয়, গোলে এমন শট নেওয়ার হারেও সবচেয়ে এগিয়ে মেসি, ৩৪.৫ শতাংশ। রোনালদো ৩২.৮, সুয়ারেজের ২৮.২ ও নেইমারের সেখানে ২৩.৩ শতাংশ। সুযোগ তৈরিতে সবচেয়ে এগিয়ে মেসি ১২.২ শতাংশ, নেইমার ৮.৭, সুয়ারেজের ৮.২ ও রোনালদো ৬.৮ শতাংশ।
মাঠের প্রথম দুই-তৃতীয়াংশে রোনোলদোর অ্যাকশনের হার ৩২.৯ শতাংশ। মেসির ৩০.১, সুয়ারেজের ৩১.১ ও নেইমারের ২৮.৯ শতাংশ। দলগত আক্রমণ সাজানোতে অবদান রাখায় সবচেয়ে এগিয়ে মেসি (৯.৯)। এরপর নেইমার (৯.২) ও রোনালদো (৭.২) শতাংশ। সবচেয়ে কম সুয়ারেজ (৪.৭ শতাংশ)। লক্ষ্যে সবচেয়ে বেশি শট নিয়েছেন মেসি (৫৪.৫ শতাংশ)। এরপর রোনালদো (৪৬.৪), সুয়ারেজ (৪৬.২) এবং নেইমার (৩৯.৪ শতাংশ)। শট প্রতি গোলের হার সবচেয়ে বেশি মেসির (২৫.৫), এরপর সুয়ারেজ (২০.৫) ও নেইমার ২০.২। সবচেয়ে কম রোনালদোর (১৯.৭ শতাংশ)।
আক্রমণভাগের একজন খেলোয়াড়ের সবগুলো অস্ত্র তুলনায় ধরলে নেইমার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই থাকছেন সেরা তিনে। পরিসংখ্যান অন্তত তা-ই বলছে।
এসব পরিসংখ্যানে নেইমারের আক্ষেপ হতেই পারে। তবে ব্রাজিলীয় তারকার ভক্তরা সান্ত্বনা খুঁজতে পারেন, সময় তো আর ফুরিয়ে যায়নি। এবার না হোক, ছন্দ ধরে রাখতে পারলে পরেরবার নিশ্চয় হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন