আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগে নেতা যত বাড়ছে কর্মী তত কমছে। নেতা উৎপাদনের কারখানা দরকার নেই, দরকার কর্মী উৎপাদনের কারখানা। কারণ কর্মীরাই দলের প্রাণ। সমস্যা নেতাদের মাঝে, কর্মীদের মাঝে কোনো সমস্যা নেই।

রোববার দুপুরে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের সভাপতিত্বে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা সত্যিকারের রাজনীতি করেন তারা একদিন মূল্যায়ন পাবেন। হতাশ হবেন না। একজন রাজনীতিকের জীবনে মানুষের ভালোবাসার চেয়ে বড় সম্পদ আর কিছু হতে পারে না।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যারা দলীয় কোন্দল ও কলহ সৃষ্টি করেন তারা সতর্ক হয়ে যান। যতই পকেট কমিটি করেন না কেন জনগণের কাছে যারা গ্রহণযোগ্য তারাই সর্বোচ্চ মূল্যায়ন পাবেন। নেতারা কর্মীদের সঙ্গে আর কর্মীরা জনগণের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি করেন।
সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ ও অপশক্তিকে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে এ শক্তিকে পরাজিত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

মাদকের ছোবলে তরুণদের একটি বড় অংশ ধ্বংস হচ্ছে জানিয়ে তিনি এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে প্রশাসনহসহ সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

সার্চ কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি এ দেশের অভিভাবক। তার অভিজ্ঞ নেতৃত্বের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। তিনি (রাষ্ট্রপতি) যা করবেন আমরা তা মেনে নেব।

কর্মী সভায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, চৌধুরী খালেকুজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ, কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি টিপু মুনশী এমপি, বস্ত্র ও পাঠ প্রতিমন্ত্রী মির্জা তাজ, হুইপ ইকবালুর রহিম ও কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন।

অন্যান্যের মধ্যে কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সুরজিৎ নাথ নন্দী, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রেজাউল করিম রাজুসহ আট জেলার সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ বক্তব্য দেন।