বৃহস্পতিবার, জুলাই ৩, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

নেপথ্যের তথ্যঃ লিটন হত্যা

মনজুরুল ইসলাম লিটন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকার দলীয় এমপি হত্যার নেপথ্যের যেসব তথ্য বেরিয়ে আসছে তা সিনেমার যে কোনো গল্পকেও হার মানায়! ঠাণ্ডা মাথায় ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে লিটনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন একই আসনের জাপা দলীয় সাবেক এমপি কর্নেল (অব.) ডা. আবদুল কাদের খান। এ লক্ষ্যে কাদের তার সুন্দরগঞ্জের ছাপরহাটি ইউনিয়নের খানপাড়া গ্রামে নিজ বাসায় তিনজনকে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণও দেন। তবে শেষ পর্যন্ত তারা কাদেরের কথা অমান্য করে হত্যা মিশনে অংশ নেয়নি। প্রথমবারের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর ২০১৬ সালের শুরুতে আবার নতুন ছক কষেন কাদের।

এরপর তিনি স্থানীয় জাপা নেতা সোহেল রানা, শাহীন মিয়া ও মেহেদীকে মোটা অঙ্কের টাকার প্রস্তাব দিয়ে লিটনকে হত্যা করতে রাজি করান। তাদেরও অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় কাদেরের বাসায়। ঘটনার দিন গুরু কাদেরের কাছ থেকে দোয়া নিয়ে তারই কিনে দেওয়া রানার ব্র্যান্ডের একটি মোটরসাইকেলে লিটনের বাসায় গিয়ে মিশন সফল করে তিন খুনি। এরপর তারা আবারও ফিরে যায় কাদেরের বাসায়। সেখানে খুনিদের মিষ্টিমুখ করান কাদের, দেন নগদ ১৫ হাজার টাকা। আবার খুনিদের নিয়ে কাদের তার গাড়িতেই গাইবান্ধা থেকে বগুড়া ফিরে যান। এমপি লিটন হত্যায় জড়িত সন্দেহে শাহীন ও মেহেদীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

গাইবান্ধায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুকও এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, কাদের খানের অর্থ ও পরিকল্পনায় এমপি লিটন খুন হয়েছেন। গ্রেপ্তার কাদের খানকে গতকাল বুধবার আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। জানা যায়, শুধু এমপি লিটন নন, কাদের গাইবান্ধায় ছয়জনকে হত্যার জন্য নামের তালিকা করেন। এমপি লিটন ছিলেন তার এক নম্বর টার্গেট। দুই নম্বর ছিলেন স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা ব্যারিস্টার শামীম পাটোয়ারী। টার্গেট লিস্টের বাকি চারজনও স্থানীয় জাপা নেতা। সিরিয়াল এই কিলিং মিশন সফল করতে একটি আলাদা মোবাইল ফোন সেট ও সিম নম্বর নেন কাদের। ওই নম্বর থেকে তিনি ভাড়াটে খুনিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।

গ্রেপ্তার জাপার সাবেক এমপি কাদের পুলিশকে জানিয়েছেন, চন্দনের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে পুলিশ বলছে, রাজনীতির পথ মসৃণ করতেই এমপি লিটনসহ ছয়জনকে হত্যার ছক কষেন কাদের। এরই মধ্যে কিলিং মিশনের দুই সদস্য গ্রেপ্তার হওয়ায় টার্গেট করা অন্য পাঁচজন প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। ২০০৮ সালে মহাজোট থেকে নির্বাচন করে এমপি হয়েছিলেন কাদের খান। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হন লিটন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত

ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো

সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

অবিলম্বে তেহরান খালি করার আহ্বান ট্রাম্পের

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়ানোর আগেই তেহরানবাসীদের শহর খালি করারবিস্তারিত পড়ুন

  • সিলেটে মোহসিন আহমেদ চৌধুরীর বাসভবনে হামলা ও ডাকাতি
  • দাওয়াত খেতে গিয়ে হামলার শিকার আওয়ামী লীগের এক নেতা
  • এবার হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি রিয়াজ-চঞ্চল-মামুনুর রশীদসহ ১৪ শিল্পী
  • ফেমডম সেশনের নামে নির্যাতনের অভিযোগে দুই নারী গ্রেপ্তার
  • রাবিতে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ
  • ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
  • ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
  • ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
  • ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
  • ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
  • অবৈধভাবে ভারত যাওয়ার সময় ওএসডি হওয়া যুগ্ম সচিব আটক
  • সিলেটের জঙ্গি নেতা আব্দুল বারি ও শামসু জামিনে মুক্ত