নোমান কি স্থায়ী কমিটিতে জায়গা পাচ্ছেন?
যোগ্য মর্যাদা না পাওয়ার ক্ষোভ রয়েছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের মনে। স্থায়ী কমিটিতে জায়গা না পাওয়ার সেই ক্ষোভ একসময় বিক্ষোভেও রূপ নেয়। একপর্যায়ে দল ছেড়ে দেয়ার গুঞ্জনও ওঠে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্ষোভ কিছুটা হলেও প্রশমিত হয়।
হঠাৎ স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহর মৃত্যুর পর পদবঞ্চিত চট্টগ্রামের প্রভাবশালী এই নেতাকে নিয়ে ফের গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বলাবলি হচ্ছে, নোমান কি স্থায়ী কমিটির এই শূন্য পদটি পাচ্ছেন। বিএনপির শীর্ষ মহলে এ নিয়ে কোনো আলোচনা না হলেও চট্টগ্রামের নেতাদের মধ্যে এ নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। নোমান সমর্থকরা ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে।
এ ব্যাপারে নোমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো জবাব না দিয়ে বিষয়টি পাশ কাটিয়ে যান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহর মৃত্যুর পর নোমান অধিকাংশ সময় ঢাকায় অবস্থান করছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ড. শাহাদাত হোসেনকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর হান্নান শাহর মৃত্যুতে দলের স্থায়ী কমিটির নতুন একটি পদ খালি হয়। ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটির দুটি পদ খালি রেখে ১৭ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। হান্নান শাহর মৃত্যুর পর এখন শূন্য পদের সংখ্যা দাঁড়াল তিনটি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে চট্টগ্রাম থেকে জায়গা করে নিয়েছেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ পদের জন্য প্রত্যাশী ছিলেন চট্টগ্রামের প্রভাবশালী নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান। কিন্তু ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে এ বর্ষিয়ান নেতাকে পদোন্নতি দেননি বিএনপি চেয়ারপারসন।’
তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহর মৃত্যুর পর তার জায়গায় চট্টগ্রামের এ নেতাকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেছে নিতে পারেন বলেন আভাস দিয়েছেন দলীয় একটি সূত্র।
এই পদটি পাওয়ার জন্য আরও কয়েক জনের নাম শোনা যাচ্ছে। তারাও যার যার মতো করে লবিং করছেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে শাহাদাত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও বেগম সেলিমা রহমান লবিং করছেন বলে শুনেছি। তবে তিনি বলেন, এ পদে নোমানের পাল্লাই ভারী। অন্তত শীর্ষ নেতারাও তেমনটাই মনে করছেন। তবে এখনো নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।’
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান ও জমির উদ্দিন সরকার একই সুরে কথা বলেন। তারা বলেন, বিষয়টি একেবারেই চেয়ারপারসনের নিজস্ব এখতিয়ার। এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, স্থায়ী কমিটির তিনটি পদ বর্তমানে খালি রয়েছে। আর এই তিন পদের জন্য অন্তত পাঁচজন সিনিয়র নেতা রয়েছেন। তারা হলেন-আবদুল্লাহ আল নোমান, সাদেক হোসেন খোকা, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্দুল আউয়াল মিন্টু এবং হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তবে এই তিনটি পদ পূরণ করার ব্যাপারে খুব একটা আলোচনা যে হচ্ছে তা বলা যাবে না। আমার মনে হয় খুব শিগগির এই তিনটি পদ পূরণ হচ্ছে না। তাছাড়া এগুলো একেবারেই চেয়ারপারসনের নিজস্ব এখতিয়ার।
এ নিয়ে পক্ষ থেকে আবদুল্লাহ আল নোমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এ ইস্যুতে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। ৭২ বছর বয়সী এ রাজনীতিক বলেন, ‘আমাকে ঘিরে দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে একটা প্রত্যাশা ছিল। নেতাকর্মীদের চাপেই এ পদ নিয়ে আমি আগ্রহ দেখিয়েছিলাম। তবে পদ-পদবি আমার কাছে বড় বিষয় না।’
এ পদে লবিং করার বিষয়টি অস্বীকার করেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানও। তিনি বলেন, ‘এ পদের জন্য দলের মধ্যে অনেক সিনিয়র নেতা রয়েছেন। আমি হলাম একজন জুনিয়র নেতা। আর পদ-পদবি নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। আমি এটা নিয়ে চিন্তাও করি না।’
তিনি বলেন, ‘দলের জন্য কাজ করতে পদ-পদবির দরকার হয় না। তবে বিএনপির চেয়ারপারসন দায়িত্ব দিলে তা অবশ্যই পালন করতে হবে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন