বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

নোয়াখালীতে ভারী বর্ষণের কৃষকের ভাগ্য পানিতে

অনুপ সিংহ, (নোয়াখালী)প্রতিনিধিঃ

বিগত কয়েক দিনের টানা ঝড়-বৃষ্টি, ভারী বর্ষণ ও শীলা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। বিষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে মাঠ-ঘাট ও সবুজ ধানের মাঠ। তাই কৃষকশ্রেণী আজ সর্বশান্ত, তাঁদের মুখে হাঁসির পরিবর্তে কান্না আর আহাজারি আবার কেউ কেউ বাকরোদ্ধ। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য আকাশচুম্বী, জনসাধারণ আজ হতাশাগ্রস্থ। এযেন কঠিন আহাকার ও দুর্দিনের এক আগাম বার্তা।

সোনাইমুড়ী উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের অধিকাংশ লোক কৃষি ফসল উৎপাদন করে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রচুর পরিমানে বোরো ফসল চাষাবাদ করা হয়েছে।মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং ধানের বাজার ভাল থাকায় কৃষকরা লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশী জমি বোরো চাষ বরেছে। কিন্তু বৈরি আবহাওয়া কারণে কৃষকদের রোপনকৃত বোরো ফসল ভারী বর্ষণের কারণে ফসলি জমিগুলি তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। এতে কৃষকেরা অনেক হতাশা ও আতংকের মধ্যে পড়েছে।যদি আরো বর্ষন হয়,তাহলে বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হবে।

উল্লেখ্য, গত কয়েক দিনে কাল বৈশাখী ঝড়, শীলা বৃষ্টি ও টানা বর্ষণে যে সমস্ত গ্রামের এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে সেগুলি হলো,
বাট্টা,কৈয়া,গৌবিন্দপুর, তুশি,ওয়াসেকপুর, কাশিপুর, হোসেনপুর, বারোগাঁও, পেয়ারাপুর, দৌলতপুর, কাজিনগর, অম্বরনগর, , জুনুদপুর, পাপুয়া, কেগনা,বদরপুর সহ আরও বহু এলাকা।

ইতি মধ্যেই অতি বর্ষণে শত শত একর জমির বোরো ধান ক্ষেতে পানি প্রবেশ করেছে।ফলে উঠতি বোরো ফসল নষ্ট হওয়ার আশস্কা রয়েছে।

সোনাইমুড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এমনই তথ্য পাওয়া যায়। ঝড়ো হাওয়া কারণে জমির ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে এবং বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। বেশির ভাগ জমির ধানই কাটার অযোগ্য। বাট্টা গ্রামের কৃষক এমাম ফরাজী জানান, এ রকম ঝড় ও বৃষ্টি যে আর হবে না তার কোন নিশ্চয়তা নেই, তাই তাড়াতাড়ি ফসল ঘরে তুলতে পারলেই বাঁচা যায়, কিন্তু তাতেও সমস্যা কারণ চাহিদা অনুযায়ী খেত মজুর পাওয়া যাচ্ছে না, আবার পাওয়া গেলেও মজুরি অনেক বেশি।

তিনি বলেন এখন উপরওয়ালার ওপর ভরসা করা ছাড়া আপতত সামনে সহজ কোন পথ নেই। শাজাহান ,শহিদ, দুলাল, কোরবান আলী সহ একাধিক কৃষক জানান, পানিতে ডুবে যাওয়া পাকা ধান তাড়াতাড়ি কাটতে হবে। তাড়াতাড়ি কাটা না গেলে এসব ধানে পচন ধরবে। তাতে ফলন কমবে। সঙ্গে ধানের দানা কালচে আকার ধারণ করবে। এতে ধানের দাম কম হবে। সব মিলিয়ে তারা মহাবিপদে রয়েছেন বলে জানান এসব কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম জানান, এই উপজেলার ১০ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে চলতি মৌসুমের বিভিন্ন জাতের বোরো ধান লাগানো হয়েছে। জমির ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ চলছে। তবে বৈশাখীর ক্ষতির ব্যাপারে কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা জানান ঝড় ও বৃষ্টির কারণে বেশ কিছু জমির উঠতি ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে এবং পানিতে ডুব ডুব অবস্থায় আছে। এতে আশঙ্কার কিছুই নেই এবং ফলনেও কোন প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

নোয়াখালীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে সতের বছর বয়সী এক কিশোরীকেবিস্তারিত পড়ুন

ভিক্ষুকে সয়লাভ নোয়াখালীর শহর

নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী এখন ভিক্ষুকের শহরে পরিণত হয়েছে। যদিওবিস্তারিত পড়ুন

নোয়াখালীতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ

পেট্রলবোমা হামলার মামলায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাবিস্তারিত পড়ুন

  • নোয়াখালীতে মাজারের খাদেমকে গলা কেটে হত্যা
  • ঘটনাটি ছোট বোন ও ভাই ছাড়া আর কেউ জানতনাঃ নোয়াখালীতে নির্যাতন শেষে স্ত্রীকে তালাক নোটিশ
  • নোয়াখালী থেকে ছেড়ে যাওয়া ড্রীম লাইন গাড়ী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ২০, নিহত-১
  • নোয়াখালীতে ৬ পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম, এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি
  • নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন, মালামাল পুড়ে ছাই
  • বিভাগ হলে শুধু নোয়াখালী নয়, বরং সারা বাংলাদেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধি হবে। (ভিডিও দেখুন)
  • স্বামীকে হত্যার পর স্ত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা
  • নোয়াখালীতে গৃহকর্মী ও যুবকসহ ২টি লাশ উদ্ধার
  • নোয়াখালীতে শিক্ষার্থী-পুলিশ ব্যাপক সংঘর্ষ, অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
  • নোয়াখালীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যা !! মামলা দায়ের
  • নোয়াখালীর দুই শিশু সন্তানের জননীকে বাথরুমে নিয়ে গলাকেটে হত্যা !!