নোয়াখালীতে হত্যা মামলায় ১২ জনের ফাঁসি
জেলা শহরের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী ফিরোজ কবির মিরণ ও তার কর্মচারী সুমন পাল হত্যা মামলায় ১২ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। আজ বুধবার বিকাল ৫টায় নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ এর বিচারক এএনএম মোরশেদ খান এ রায় প্রদান করেন।
ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন- কামরুল হাসান কামরুল, মোফাজ্জল হোসেন প্রকাশ জাবেদ, কামাল হোসেন ওরফে এলজি কামাল, .মো. রাশেদ ড্রাইভার, আবদুছ ছবুর, জাফর হোসেন ওরফে মনু, সামছুদ্দিন ওরফে ভুট্রো, আলী আকবর ওরফে সুজন, সাহাব উদ্দিন, আবু ইউছুফ ওরফে সুমন, নাছির উদ্দিন ওরফে মন্জু, তোফাজ্জল হোসেন ওরফে জুয়েল। এ ছাড়া অপর অভিযুক্ত ১৩ জনকে মামলা থেকে খালাস প্রদান করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মোবাইল ফেয়ারের স্বত্ত্বাধিকারী ফিরোজ কবির মিরণ, তার ছোট ভাই সামছুল কবির রুবেল ও তাদের কর্মচারী সুমন পাল জেলা শহরে তাদের মোবাইল দোকান বন্ধ করে বাসায় যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টায় মাইজদী নাপিতের পুল এলাকায় তাদেরকে পথরোধ করে একটি মাইক্রোবাস। তারা নিজেদেরকে একটি বিশেষ বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তিনজনকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায়। পথিমধ্যে অপহৃতরা গাড়ির ভিতরে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে অপহরণকারীরা ছুরিকাঘাত করে দোকানের মালামাল ও বিক্রিত নগদ টাকা নিয়ে তাদেরকে সড়কের পাশে ফেলে দেয়। এতে ফিরোজ কবির মিরণ ও সুমন পাল নিহত হয়। এ সময় আহত হয় মিরণের ভাই সামছুল কবির রুবেল। এ ঘটনার পরদিন নিহত মিরণের বাবা আবু বকর ছিদ্দিক বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ বুধবার আদালত এ রায় প্রদান করেন। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিজ্ঞ এপিপি কবির আহমেদ ও অ্যডভোকেট সাইফুল ইসলাম।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

নোয়াখালীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে সতের বছর বয়সী এক কিশোরীকেবিস্তারিত পড়ুন

ভিক্ষুকে সয়লাভ নোয়াখালীর শহর
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী এখন ভিক্ষুকের শহরে পরিণত হয়েছে। যদিওবিস্তারিত পড়ুন

নোয়াখালীতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ
পেট্রলবোমা হামলার মামলায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাবিস্তারিত পড়ুন