সংবাদ সম্মেলনে আ. লীগ প্রার্থী
নৌকায় ভোট দিয়ে গ্রামছাড়া মানুষ
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আসাদুল হক অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে গ্রামের মানুষ এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত এ প্রার্থীর আরো অভিযোগ, ‘নৌকা হারেনি, আমাকে পুলিশ হারিয়ে দিয়েছে। ভোটের আগে থেকেই পুলিশ কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়ে নৌকায় ভোট না দেওয়ার কথা জানিয়ে আনারস প্রতীকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছে। এ ছাড়া ভোটের সাতদিন আগে থেকে পুলিশ প্রতিটি এলাকায় সাধারণ মানুষকে হয়রানি করেছে।’
আসাদুল হক আজ রোববার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি দাবি করেন, ভোটের আগের রাতে একজন পুলিশ কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কুয়েতপ্রাবাসী ইমাদুলকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরেছেন। নির্বাচনে ইমাদুল কত টাকা ব্যয় করেছেন, কার কার হাতে সে টাকা পৌঁছেছে তা তদন্ত করে দেখার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান আসাদুল।
আওয়ামী লীগ মনোনীত এ প্রার্থী দাবি করেন, নির্বাচনের পরদিন ৭৮ বছরের বৃদ্ধ মোশাররফ হোসেন সন্ত্রাসীদের হাতে মার খেয়েছেন। মোশাররফ নৌকার একজন একনিষ্ঠ কর্মী। তিনি ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনকালে পণ করেছিলেন যে, আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় না আসবে, ততদিন খালি পায়ে থাকবেন। এর সাত বছর সাড়ে তিন মাস পর শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার দিন থেকে তিনি জুতা পায়ে দেন।
বিজয়ী চেয়ারম্যান কুয়েতপ্রবাসী ইমাদুল সবার পকেটে পকেটে টাকা ভরে দিয়েছেন দাবি করে পরাজিত প্রার্থী আসাদুল হক বলেন, পুলিশ কয়েকদিন ধরে ইমাদুলের বাড়িতে সুখে খাওয়াদাওয়া করেছে। আর নির্বাচনের সময় সন্ত্রাসীদের হাতে মার খেয়েছে গোপাল, আবদুল হাকিম, আজিবর রহমান, অমল কুমার, সন্দ্বীপ, আবদুল গনি, রাশিদা খাতুন প্রমুখ।
‘কুলিয়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে ২১৪১ ভোটারের মধ্যে ২০৪০ ভোট পড়ল কীভাবে’ প্রশ্ন রেখে আসাদুল বলেন, অপর একটি কেন্দ্রে ১৬২৫ ব্যালটের স্থলে ১৭৭৫টি ব্যালট পৌঁছেছে।
নৌকার পক্ষে কাজ করায় টিকেট মসজিদের সভাপতির পদ থেকে বাদ পড়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা। আর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল কুদ্দুসও একই কারণে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন আসাদুল হক। তিনি বলেন, ‘ভোট শুরুর সময় আমার এজেন্টদের ভেতরে নেওয়া হয়নি। প্রায় এক ঘণ্টা ১০ মিনিট পর বুথে নৌকার এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়। নীলনকশা করে প্রশাসন নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করেছে।’
আসাদুল আরো জানান, ভারতে অবস্থানরত তাঁর ভাই শামীমের বিরুদ্ধে পুলিশ উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটি দ্রুত বিচার আইনে মামলা করে। ১৭ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরার সময় তাঁকে আটক করে পুলিশ। তাঁর ছেলে শরিফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে পঙ্গু করে রেখেছে সন্ত্রাসীরা।
পুলিশের আশকারা পেয়ে কুলিয়া এলাকায় এখন জামায়াত-শিবির মাথাচাড়া দিয়েছে। পুলিশের কারণে আওয়ামী লীগের স্থায়ী ভোট ব্যাংক লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বলে জানান আসাদুল হক। তিনি জানান, তাঁর মোবাইলে একাধিক ফোন থেকে মেসেজ পাঠিয়ে জীবননাশের হুমকি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সাতক্ষীরা জেলায় আম সংগ্রহ উদ্বোধন
আমের গুণগত মান বজায় রেখে নিরাপদে আম বাজারজাত করতে সাতক্ষীরাবিস্তারিত পড়ুন
সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু
ফায়ার সার্ভিস, বনবিভাগ ও গ্রামবাসী একত্রে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন
কোটি টাকার স্বর্ণসহ ইউপি মেম্বার গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী সীমান্ত থেকে ৯ পিছ স্বর্ণের বারসহবিস্তারিত পড়ুন