নৌকা প্রতীক অপসারণ করায় হরতালের ডাক
খুলনার পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কবিরউদ্দিনকে অপসারণের দাবিতে কাল মঙ্গলবার সেখানে আধা বেলা হরতাল ডাকা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে পাইকগাছা মৌখালী হাইস্কুল চত্বরে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এই হরতালের ঘোষণা দেন খুলনা-৫ আসনে আওয়ামী লীগদলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) শেখ মো. নূরুল হক।
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ইউএনও একটি নৌকা প্রতীক অপসারণ করায় সংসদ সদস্য তাঁর অপসারণ চেয়ে হরতালের ডাক দিয়েছেন। এ কারণে রোববার রাতেই নিরাপত্তার অভাবে ইউএনও কবিরউদ্দিন এলাকা ছেড়ে খুলনায় অবস্থান করছেন।
পাইকগাছার ইউএনও মো. কবিরউদ্দিন জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতে রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের মৌখালী বাজারে হার্ডবোর্ড দিয়ে নির্মিত এবং লাইটিং করা তিন হাত লম্বা নৌকা প্রতীক অপসারণ এবং তালা-চাবি প্রতীকের প্রার্থীকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন। এই ঘটনায় কিছু নেতাকর্মী বিক্ষুব্ধ হলে তিনি রোববার রাত থেকেই খুলনায় অবস্থান করছেন।
অপসারণের দাবিতে হরতাল আহ্বানের ঘটনা শুনেছেন ইউএনও। তবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
এদিকে আজ দুপুরে পাইকগাছার মৌখালী হাইস্কুলের মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ জরুরি সমাবেশ আহ্বান করে। এই সমাবেশে সংসদ সদস্য শেখ নুরুল হক ইউএনও মো. কবিরউদ্দিনকে জামায়াত-বিএনপির দোসর এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযোদ্ধের চেতনাবিরোধী আখ্যা দিয়ে মঙ্গলবার পাইকগাছায় আধা বেলা হরতাল আহ্বান করেন।
সংসদ সদস্য অভিযোগ করেন, ইউএনওর নির্দেশে নৌকা প্রতীক অপসারণ করে তা ভাঙচুর করা হয়েছে। তাই মঙ্গলবার আধা বেলা হরতাল পালন এবং নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পাইকগাছা পৌরসভার মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, ডেপুটি কমান্ডার আবদুর রাজ্জাক মলঙ্গী, এমপির ছেলে শেখ মনিরুল ইসলাম, আকতারুজ্জামান সুজা, ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুনছুর আলী গাজী প্রমুখ।
এই প্রতিবাদ সমাবেশ চলাকালে চত্বরে দুই পাশে অবস্থিত মৌখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মৌখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার রাতে নৌকা প্রতীক অপসারণের পর গুঞ্জন সৃষ্টি হয় যে ইউএনও মো. কবিরউদ্দিনকে লাঞ্ছিত করা হবে। গুঞ্জন শুনে ইউএনও রোববার রাতেই সড়ক পথে খুলনা রওনা হন। পথে দুই দফায় ইউএনওকে বহনকারী গাড়ির গতিরোধ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ইউএনও পরে গাড়ি বদল করে খুলনায় যান। পথে এক দফা তাঁকে নাজেহাল করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে ইউএনও কবিরউদ্দিন নাজেহাল হওয়ার কথা স্বীকার করেননি। এ ব্যাপারে খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য শেখ নুরুল হক জানান, জেলা প্রশাসক ইউএনওকে প্রত্যাহার করলে হরতাল স্থগিত হবে। তিনি নিজে ক্লান্ত দাবি করে এ সংক্রান্ত সংবাদ স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করার পরামর্শ দেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আনার হত্যার মাস্টারমাইন্ড শাহীনকে ধরতে ডিবির পরিকল্পনা
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ধারণা, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমবিস্তারিত পড়ুন
তৃতীয়বার আনারকে মনোনয়ন দিয়েছি জনপ্রিয়তা দেখে: কাদের
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম (আনার) স্বর্ণ চোরাচালানকারীবিস্তারিত পড়ুন
মাস্টারমাইন্ড শাহীনের অগাধ রহস্য
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতের কলকাতায় হত্যাকাণ্ডেবিস্তারিত পড়ুন