শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

পছন্দ নয়, জিজ্ঞেস করুন অপছন্দ কী?

পছন্দ আর অপছন্দ নিয়েই আমাদের জীবন। আমরা আমাদের প্রিয়জনকে খুশি রাখতে প্রায়ই তার পছন্দের কথা জিজ্ঞেস করি। জিজ্ঞেস করি তার ভালোলাগার কথা। আসলে আমরা সবাই পজিটিভ দিক নিয়েই ভাবি। কিন্তু আদতে ভাবা উচিত নেগেটিভ দিক নিয়ে! কী ধন্দ লাগল?

হ্যাঁ, একটি সম্পর্কে এগিয়ে নিতে হলে একে অপরের পছন্দের ব্যাপারগুলো যতটা জানা উচিত তার চেয়ে বেশি জানা উচিত অপছন্দের বিষয়টা। কারণ পছন্দ ব্যাপারটা যদি আপনার দৃষ্টিতে পজিটিভ হয় তাহলে অপছন্দ নিশ্চিত ভাবেই নেগেটিভ।

এবার ভাবুন যদি আপনি আপনার প্রিয়জনের পছন্দের ব্যাপারটা খেয়াল করেননি। তাহলে পজিটিভ কিছু হলো না। ব্যাপারটা থাকল নিউট্রাল। অর্থাৎ পজিটিভও না আবার নেগেটিভও না। পছন্দটা জানা থাকলে হয়তো পজিটিভ কিছু হতো। আর জানা না থাকায় তেমন ক্ষতি হয়নি ঠিকই কিন্তু নেগেটিভও কিছু হয়নি। এখন খেয়াল করুন, আপনি তার অপছন্দটা জানেন না। ফলে এমন কিছু কিনে আনলেন যেটা তার অপছন্দ বা এমন কোনো আচরণ করলেন যাতে সে বেশ কষ্ট পেল! তাহলে ব্যাপারটা কী দাঁড়াল?

আপনি পছন্দের ব্যাপার না জানায় লাভ হয়নি আবার ক্ষতিও কিন্তু হয়নি। কিন্তু অপছন্দের বিষয় না জানায় ক্ষতি কিন্তু ঠিকই হলো। কেননা এটা সম্পর্কে নেগেটিভ প্রভাব ফেলে। আপনি তার কষ্ট দূর করার জন্যে অনেক পেইন নেবেন হয়তো। অথবা একটা পর্যায়ে হয়ে যেতে পারেন বিরক্ত। সেক্ষেত্রে সম্পর্ক আরো ঘোলাটে অবস্থায় চলে যেতে পারে। আর হারাতে পারেন আস্থার জায়গায়ও। এই জায়গাটি কিন্তু খুব স্পর্শকাতর। কারণ যদি কোনো কারণে অপছন্দের বিষয়গুলো বার বার ঘটে তবে আস্থাহীনতা চরম আকার ধারণ করতে পারে। যার পরিণাম কিন্তু খুব খারাপ হতে পারে।

সকল সম্পর্ক টিকে থাকে বা গড়ে ওঠে আস্থা নিয়ে। আস্থা হারালে সম্পর্ক বেশিদিন টিকেনা। আর আস্থাহীনতাই জন্ম দেয় অবিশ্বাস। তাই যেকোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে বা সম্পর্কের মধুরতা বজায় রাখতে পছন্দের চেয়ে অপছন্দের বিষয় বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনার প্রিয়জনের পছন্দের বিষয়ে খোঁজ রাখার পাশাপাশি খোঁজ রাখুন তার অপছন্দের দিকগুলোও। তাতে সম্পর্কে যেমন গভীরতা বাড়বে তেমনি তা হবে দারুন টেকসই। মনে রাখা উচিত আপনার প্রিয়জন আপনাকেও প্রিয় ভাবেন কারণ আপনি তার প্রিয় ব্যাপারগুলো খোঁজ রাখেন আর অপ্রিয় ব্যাপারগুলো দূরে রাখেন।

আরেকটা ব্যাপার, ধরুন আপনি বাসায় বসে ছিলেন অকারণেই। এমন সময় আপনার বন্ধু ফোনে আপনাকে এমন কোনো জায়গায় যাওয়ার অফার করলো যেখানে গেলে আপনার অনেক ভালো লাগবে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই সে আবার ফোন করে বলল, ঠিক আছে বাদ দে, গিয়ে কাজ নেই! এবার একটু কল্পনা করুন কেমন হলো ব্যাপারটা? বাসায় অহেতুক বসে ছিলেন কোনো সমস্যা বা আশায় ছিলেন না। কিন্তু একটু পর যখন প্রবল ভালোলাগা বা আশার সঞ্চার হলো তখন খুব ভালো লাগছিল। কিন্তু যখন সেটা ভেস্তে গেল, তখন পূর্বের অবস্থার চেয়ে খারাপ অবস্থানে চলে গেলেন। এটাই হচ্ছে পছন্দ বা অপছন্দের বিষয়গুলোর খোঁজ রাখার পার্থক্য। মানে ভালোলাগার ব্যাপার না হলেও চলে। কিন্তু খারাপ লাগার বিষয়গুলো যেকোনো ভাবেই উদ্ভব হোক না কেন, সেটা নিয়ে আসে হতাশা। তাই আশা দিতে না পারুন অন্তত হতাশ করবেন না। সুতরাং পছন্দ কি জিজ্ঞেস করার আগে জিজ্ঞেস করুন তোমার কী কী অপছন্দ?

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মানবদেহে আদার অনেক উপকার

আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন

হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?

বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন

ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ

চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন

  • ওজন কমাতে যা খাওয়া যেতে পারে
  • প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন
  • আমলকি কখনো স্বাস্থ্যের জন্য ‘বিপজ্জনক’ হয়ে ওঠে
  • বাসি দই ও পান্তা ভাতের আশ্চর্যজনক উপকারিতা
  • স্বাদে ও পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজি হলো লাউ
  • মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রার পারদ উঠল ৪৩ ডিগ্রিতে
  • যেসব অঞ্চলে টানা ৩ দিন ঝড়বৃষ্টি
  • ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ফের কমলো স্বর্ণের দাম
  • গরমে চুলের যত্ন নেবেন কীভাবে?
  • একলাফে সোনার দাম ভ‌রিতে কমলো ৩১৩৮ টাকা
  • কত দিন পর পর টুথব্রাশ বদলাবেন?
  • ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়