পঞ্চম বোলার হিসেবে মালিঙ্গার হ্যাটট্রিক, কিন্তু কাজে আসেনি
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলা শুরু হয় ২০০৫ সালে। দেখতে দেখতে ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট এই ফরম্যাটের বয়স এক যুগ পেরিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ১২ শতাধিক ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। কত শত রান হয়েছে, উইকেট পড়েছে। শত শত বোলারের অভিষেক হয়েছে।
তার মধ্যে মাত্র ৫ জন বোলার টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। সেই তালিকায় সর্বশেষ নামটি আজ অন্তর্ভূক্ত হল। তিনি হলেন লাসিথ মালিঙ্গা। বাংলাদেশের বিপক্ষে আজ বৃহস্পতিবার প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার ১৯তম ওভারে বল করতে আসেন মালিঙ্গা। চারটি রান দিয়ে এই ওভারে তিনি তুলে নেন ৩টি উইকেট। যার মধ্য দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসের পঞ্চম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব অর্জন করেন। ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে মুশফিকুর রহিম বোল্ড হয়ে যান। পরের বলেই বোল্ড হয়ে যান বিদায়ী অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। আর পঞ্চম বলে আউট হন অভিষিক্ত মেহেদী হাসান মিরাজ। তাকে অবশ্য এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মালিঙ্গা।
মালিঙ্গার আগে ২০০৭-৮ মৌসুমে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম হ্যাটট্রিকটি করেন ব্রেট লি। ২০০৯ সালে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করেন জ্যাকব ওরাম। ২০১০-১১ মৌসুমে পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় বোলার হিসেবে এই ফরম্যাটে হ্যাটট্রিক করে নিউজিল্যান্ডের টিম সউদি। ২০১৫-১৬ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসের চতুর্থ বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেন থিসারা পেরেরা। আর আজ পঞ্চম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকটি করলেন লাসিথ মালিঙ্গা।
——— মাশরাফিকে জয় উপহার দিল বাংলাদেশ————–
ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এর চেয়ে আর বড় প্রাপ্তি কী হতে পারে মাশরাফি বিন মর্তুজার জন্য। জয়ের চেয়ে বড় কোনো কিছুই সম্ভবত আর উপহার হতে পারে না। সেই উপহারটিই যোদ্ধা ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজাকে উপহার দিলো বাংলাদেশ। কলম্বোর রানাসিংহে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে ৪৫ রানের ব্যবধানে হারালো বাংলাদেশ।
সে সঙ্গে অধিনায়ক এবং খেলোয়াড় মাশরাফির টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ইতি ঘটে গেলো। এই ম্যাচ জয়ের মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ১-১ ব্যবধানে ড্র করলো বাংলাদেশ।
টেস্ট, ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও কেউ জয় পেলো না। ড্র হলো। টেস্ট সিরিজ ড্র হয়েছে ১-১ ব্যবধানে। ওয়ানডে সিরিজে ৩ ম্যাচ থাকলেও ১ ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। প্রথম ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচ হেরে যাওয়ায় ড্র হয়েছিল ১-১ ব্যবধানে। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে শেষ ম্যাচে জয়টা খুব দরকার ছিল। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার জন্য হলেও প্রয়োজন ছিল জয়। অবশেষে সেই জয়টাই মাশরাফিকে উপহার দিলেন দলীয় সদস্যরা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কাকে ১৭৭ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। বোলারদের দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৮ ওভারেই স্বাগতিক লঙ্কানদের ১৩১ রানে বেধে ফেললো টাইগার বোলাররা। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২১ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ৪ উইকেট। সাকিব আল হাসান নেন ৩ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন মাশরাফি, মাহমুদউল্লাহ এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটা আবার সাইফউদ্দিনের প্রথম উেইকেট।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন