পদ্মা সেতুর ২৭ শতাংশ কাজ শেষ

পদ্মার উপর দিয়ে গাড়ি চলবে এমন স্বপ্ন কুবের-কপিলাদের মনেও আসেনি। রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া কিংবা মাছ ধরা যে কাজেই মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশীলবরা পদ্মায় নামত, ভরসা ছিল নৌকা আর বৈঠা। এই দৃশ্য এখন পুরনো হতে চলেছে।
নতুন চিত্রটা হবে ইট-সিমেন্ট আর স্টিলের। এই জড় পদার্থগুলোর রসায়ন বাংলার মানুষের কাছে পদ্মাকে নতুন করে চেনাবে। এখানে গণেশকে উজান ঠেলে নৌকা বাইতে হবে না। প্রশস্ত সেতুতে উঠেই বাসের হেলপার হয়তো হাক ডাকবেন, ওস্তাদ- রাস্তা ক্লিলিয়ার, জোরসে টানেন। আর ট্রেনের হুইসেলের সঙ্গে পরিচয় হবে রুপালি ইলিশের।
না, স্বপ্ন নয়। পদ্মায় নতুন চিত্রায়নের এই গল্পটা সত্য। পদ্মা সেতুর সামগ্রিক কাজের এক চতুর্থাংশেরও বেশি কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো হতে চলেছে ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু’। দ্রুত গতিতে চলছে কাজ। লক্ষ্য, ২০১৮ সালের মধ্যে পদ্মার উপর দিয়ে গাড়ি চালানো।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, ‘এই প্রকল্পকে যেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করা সম্ভব হবে আশা করি। গড়ে ২৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ পরিকল্পনা মতো এগুবে বলেই আশা করছি।’
সবচেয়ে বড় অবকাঠামো
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো হতে যাচ্ছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
২০০৭ সালে অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এরপর আরও দুই দফা সংশোধন হয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নাধীন আছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ
গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পটিকে ঘিরে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনা-সমালোচনা ঝড় বয়ে গেছে। পদত্যাগ করতে হয়েছে গত সরকারের একজন মন্ত্রিকেও। বিশেষ করে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের টানাপোড়েনে এক পর্যায়ে এই প্রকল্প থেকে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি তুলে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
এরপর সরকার প্রকল্পটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে। বিভিন্ন সময়ে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে পদ্মা সেতুর চ্যালেঞ্জ জয়ের প্রতিজ্ঞা করেছেন। সেই সঙ্গে বিশ্ববাসীর সামনে সক্ষমতা প্রদর্শন করতে এই কাজে বড় ধরনের সাফল্য চায় বাংলাদেশ।
পদ্মা সেতুতে সড়ক এবং রেল পথের ব্যবস্থা থাকলেও প্রাথমিকভাবে সড়ক পথ চালু হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে রেলপথ চালু করা হবে বলে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে।
পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামোর উদ্বোধন করতে শনিবার সকালে শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

গোলাম পরওয়ার: নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে মহাদুর্যোগ নেমে আসবে
অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ না হলে জাতির জন্যবিস্তারিত পড়ুন

আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকারবিস্তারিত পড়ুন

শুক্রাণু দান করা শতাধিক সন্তানকে সম্পদের সমান ভাগ দেবেন টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠাতা
দান করা শুক্রাণু থেকে যেসব সন্তানের জন্ম হয়েছে সেসব সন্তানকেওবিস্তারিত পড়ুন