পরকিয়ার বাধা সরাতেই স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা

দুধের সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয় জামিলকে। তারপর দুই সহযোগীকে নিয়ে স্ত্রী মৌসুমী বটি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। সবশেষে লাশটি বস্তাবন্দি করে লুকিয়ে রাখা হয় বাসার খাটের নিচে।
মঙ্গলবার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে খুনের এমন লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন রাজধানীর চকবাজারে খুন হওয়া জামিলের স্ত্রী মৌসুমী।
চকবাজার থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি- তদন্ত) মুরাদুল ইসলাম বলেন, স্ত্রী মৌসুমীর পরিকল্পনায় আরো দুই জন এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। পরে তারা তিন জন মিলে বটি এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই দুই সহযোগীর মধ্যে পরকিয়া প্রেমিকও ছিল কি না তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি ওসি।
এদিকে নিহতের ভগ্নিপতি আনোয়ার জানান, জমিল ও মৌসুমীর বিয়ে হয় সাত বছর আগে। তাদের ঘরে তাজ নামের পাঁচ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। মৌসুমীর পরকিয়ার কারণে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো।
তিনি বলেন, ‘জামিলের খোঁজে শাশুড়ি মোরা বেগম আমায় সোমবার রাতে ফোন দেয়। ঘটনা সন্দেহজনক হওয়ায় আমি রাতেই তাদের বাসায় গিয়ে খোঁজাখুজি করে খাটের নিচ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় জামিলের লাশ পাই। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়।’
জামিল হোসেন চকবাজার রহমতগঞ্জের ১৭৭ ওয়াটার ওয়ার্ক রোডের সফি আহমেদের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে একই রোডের কালাম মিয়ার ৫ তলা বাড়ির ২য় তলায় ভাড়া থাকতেন। তার একটি স্কচটেপ কারখানা আছে বলেও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

অবিলম্বে তেহরান খালি করার আহ্বান ট্রাম্পের
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়ানোর আগেই তেহরানবাসীদের শহর খালি করারবিস্তারিত পড়ুন