শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, স্ত্রী-ছেলে আটক

শাহরাস্তিতে স্বামীকে হত্যার পর মাটিচাপা দিয়েছে স্ত্রী। এ কাজে সহযোগিতা করেছে তাদেরই সন্তান। উপজেলার মেহের উত্তর ইউনিয়নের নয়নপুর বেপারীবাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজের ১৬ দিন পর শনিবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে স্ত্রীর স্বীকারোক্তিতে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ভূমি থেকে গলিত লাশ উদ্ধার করে শাহরাস্তি মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ঘাতক স্ত্রী ও তার ছেলেকে আটক করা হয়েছে।

জানা যায়, ওই বাড়ির মৃত আ. হাকিমের ছেলে মো. জামাল হোসেন (৪০) গত ১৪ এপ্রিল নিখোঁজ হয়েছে জানিয়ে তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম হ্যাপি (৩৫) ২৮ এপ্রিল শাহরাস্তি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (নং-১০৭৬) করেন। ডায়রি করার পর পুলিশ নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে বিভিন্ন থানায় জানায়। পরে বিষয়টি পুলিশের সন্দেহ হলে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে।

অপরদিকে ফাতেমা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তার এক নিকটাত্মীয় আমির হোসেনের স্মরণাপন্ন হয়। আমির হোসেন ফাতেমার সাথে কথা বলে কিছুটা অনুমান করতে পেরে শাহরাস্তি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমানকে জানান।

পরে শাহরাস্তি গেট দোয়াভাঙ্গা এলাকায় আমির হোসেন ফাতেমা বেগমকে কৌশলে ডেকে থানা থেকে সাধারণ ডায়রি উত্তোলনের নাম করে অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমানের পরিচয় গোপন করে তার সাথে থানায় পাঠিয়ে দেন। এরপর ওসি থানায় এনে ফাতেমাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং লাশ কীভাবে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে তার বিবরণ দেন।

ফাতেমার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে শাহরাস্তি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল মান্নান, মো. নিজাম উদ্দিন, সমীর মজুমদার ও মো. কামাল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির পশ্চিম পাশের জমি থেকে গর্ত খুঁড়ে গলিত লাশ উত্তোলন করেন। এ সংবাদ চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়।

এদিকে নিহতের ভাই আজাদ হোসেন বলেন, ‘আমার ভাই ১ ছেলে ও ২ মেয়ের বাবা। সে পারিবারিকভাবে সুখেই ছিল। কিন্তু ভাবীর পরকীয়ার জেরে বিভিন্ন সময় ভাইয়ের সাথে বাকবিতণ্ডা হতো। পরকীয়ার কারণেই আমার ভাই নির্মম হত্যার শিকার হয়েছে।’

শাহরাস্তি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে ফাতেমা জানিয়েছে ঘটনার রাতে তার স্বামীর জন্ডিসের ওষুধের সাথে ৮টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেন তিনি। স্বামী গভীর ঘুমে থাকাবস্থায় বালিশ চাপা দিয়ে তাকে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়।

পরে পাশের ঘরে ঘুমিয়ে থাকা ৯ম শ্রেণিপড়ুয়া ছেলে জাহিদুল ইসলাম ফাহিমকে (১৩) ডেকে তুলে তার বাবা আত্মহত্যা করেছে বলে জানায়। দিনের বেলায় স্থানীয়দের বিষয়টি বিশ্বাস করাতে পারবে না বলে রাতেই বাড়ির পশ্চিম পাশের জমিতে মাটি চাপা দেবে বলে ছেলেকে রাজি করায়। এরপর মা ও ছেলে দু’জনে মিলে লাশ মাটি চাপা দেয়।

এ ঘটনায় স্ত্রী ফাতেমা বেগম হ্যাপী ও ছেলে ফাহিমকে আটক করেছে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

বিয়েবাড়িতে টেবিল বসিয়ে ‘হোটেল ব্যবসা’ বন্ধের দাবি

বিয়েবাড়িতে টেবিল বসিয়ে উপহারসামগ্রী নেওয়ার প্রচলন বন্ধের দাবিতে চাঁদপুরে র‌্যালিবিস্তারিত পড়ুন

চাঁদপুরে মাদকের টাকার জন্য মারাত্মকভাবে কুপিয়ে মাকে হত্যা

চাঁদপুর শহরে মাদকসেবী ছেলের হাতে মা খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতবিস্তারিত পড়ুন

১৫ লাখ ইয়াবা উদ্ধার

চট্টগ্রামের পতেঙ্গার বহির্নোঙর এলাকায় একটি ট্রলার থেকে ১৫ লাখ ইয়াবাবিস্তারিত পড়ুন

  • চাঁদপুরের একসঙ্গে তিন কন্যার জন্ম দিলেন এক মা
  • রাস্তার পাশে গাছের পাতায় মোড়ানো নবজাতককে উদ্ধার !
  • ‘মসজিদে আযানরত অবস্থায় ইমামকে খুন’, আটক সন্ত্রাসী মাসুদ
  • পিঠের ‘পদ্মা সেতুতে’ হাঁটলেন নেতা, বললেন সব ‘অনুরোধে’
  • চাঁদপুরে চিকিৎসককে গলা কেটে হত্যা
  • দ্রুতগতির মোটরসাইকেলে প্রাণ হারাল দু’জন
  • স্বামী হত্যা: স্ত্রীসহ প্রেমিকের ফাঁসি
  • আপত্তিকর অবস্থায় আটক এসআই বরখাস্ত
  • বিধবার সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়লো এসআই, অতঃপর বিয়ে
  • ‘জাতীয় চার নেতাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল’
  • বখাটের উত্ত্যক্তের শিকার সেই মেয়ের বাড়িতে এডিসি
  • বখাটেদের ভয়ে ছয় মাস স্কুলে যায় না মেয়েটি