পরিচালক রফিক শিকদার আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন : প্রিয়াঙ্কা
বাংলাদেশের নির্মাতা রফিক শিকদার পরিচালিত ‘হৃদয় জুড়ে’ ছবিতে অভিনয় করছিলেন কলকাতার নায়িকা প্রিয়াঙ্কা সরকার। ছবিটিতে প্রিয়াঙ্কার সহশিল্পী ছিলেন নিরব। গত ফেব্রুয়ারি মাসে জমকালো মহরতের মধ্য দিয়ে ছবিটির শুটিং শুরু হয়।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ে মধ্যে ছবিটির কাজ শেষ হয়নি পরিচালকের অপেশাদার আচরণের জন্য। এমন অভিযোগ করলেন কলকাতার অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার। এছাড়া পরিচালক তাকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছেন বলে জানান এ নায়িকা।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে আমি ঢাকা গিয়েছিলাম আমার প্রথম বাংলাদেশী ছবি ‘হৃদয় জুড়ে’র শুটিং করতে এবং সত্যি কথা বলতে বাংলাদেশে আমার প্রযোজনা টিম, সহশিল্পীসহ সকলের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছিলাম। কিন্তু এত কিছুর পরেও অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, এই ছবির পরিচালক রফিক শিকদার চূড়ান্ত অপেশাদার একজন মানুষ।
রফিক শিকদারের বিরুদ্ধে কলকাতার এই নায়িকা অভিযোগ করে বলেন, ‘অকারণেই উনি শুটিং-এর সময় আমার সাথে কাজের বাইরে অন্যান্য বিষয় নিয়ে গল্প করতে চাইতেন। সময়ে-অসময়ে মেসেজ করতেন নানা রকম। যেগুলো কাজ সংক্রান্ত নয়! মানে বাড়তি অ্যাটেনশন পাওয়ার চেষ্টা এবং অনেক সময়েই আমি এর প্রতিবাদও করেছি কিন্তু তবুও উনি নিজেকে সংশোধন করেননি।’
নির্মাতার অপেশাদার আচরণের জন্যই নির্ধারিত সময়ে শুটিং শেষ হয়নি অভিযোগ করে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমার শুটিং শিডিউল শেষ হওয়ার পর আমি কলকাতা ফিরে আসি। তবুও আমি রাজ ছিলাম চুক্তি শেষ হবার পরেও বাংলাদেশে গিয়ে ছবির বাকী অংশের কাজ শেষ করতে। কিন্তু কলকাতা ফেরার পরই উনি শুরু করেন আমাকে মানসিকভাবে হেনস্থা করা।’
রফিক শিকদার এই নায়িকাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন উল্লেখ করে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় উনি আমাকে বার বার মেসেজ করতেন। বলতেন, উনি নাকি আমাকে মিস্ করছেন! একটা সময়ের পর আমাকে বিয়ের প্রস্তাবও দেন! বারবার ব্লক করা সত্ত্বেও উনি থামেননি। উনি সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পোস্টেও ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন আমাকে। এসব সত্যি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
রফিক শিকদারের সঙ্গে আলাপচারিতার কিছু স্ক্রিনশট নিজের ফেসবুক পাতায় শেয়ার করে প্রিয়াঙ্কা লিখেন, ‘আমি প্রমাণস্বরূপ উনার করা হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুকের মেসেজের স্ক্রিনশটও শেয়ার করছি তাহলেই আপনারা এই মানুষটির মানসিকতা বুঝতে পারবেন। এই লোকের কী বিচার হওয়া দরকার সেটা আমি আমার বাংলাদেশের বন্ধুদের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছি।’
প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমার সত্যি এ বিষয়গুলো এভাবে প্রকাশ্যে নিয়ে আসা উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু পরে ভেবে দেখলাম এই ধরনের হয়রানির একটা প্রতিবাদ হওয়া দরকার। কারণ এই ধরনের নিম্ন মানসিকতার লোকজন দুই বাংলার চলচ্চিত্র জগতের জন্যই হানিকারক। এরা শিল্প এবং শিল্পী কাউকেই সম্মান করতে জানে না এবং দুই বাংলার শিল্পীদেরই আমার অনুরোধ- এই রকম ঘটনার সম্মুখীন হলে প্রতিবাদ করুন ও সতর্ক হোন। নইলে চুপ করে থাকলে এরা আরও পেয়ে বসবে। আর একজন শিল্পী হয়ে আমি এটুকুই বলতে পারি ঈশ্বর উনার শুভবুদ্ধি জাগ্রত করুন।’
এদিকে এ প্রসঙ্গে নির্মাতা রফিক শিকদার তার ফেসবুক পাতায় লিখেন, `দু’দিন শুটিং স্পটে নায়িকার জন্য গাড়ী ছিল না বলে সে প্রচন্ড রকমের সিনক্রিয়েট করেছিল। যার দরুন নায়িকার জন্য গাড়ী কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এটা নিয়ে অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই। তাকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখার তাগিদে তার ইনবক্সে লেখাগুলো সেন্ট করেছিলাম। নায়িকা যে লেখাগুলো উন্মোচন করেছেন সেটি কিন্তু অতি সাম্প্রতিককালের। অর্থাৎ নায়িকা কলকাতায় যাবারও বেশ কিছুদিন পরের ঘটনা এটি। সে যখন আমাকে শিডিউল দিচ্ছিল না তখন আমি তার উদ্দেশ্যে এই লেখাগুলো লিখেছিলাম। কোনো বিদেশী শিল্পী কাজ করতে এলে তার ওয়ার্ক-পারমিট লাগে। ওয়ার্ক-পারমিট করাতে শিল্পীর লিখিত সিডিউল লেটার এর প্রয়োজন হয়। যেটা নায়িকা আমাকে দিচ্ছিল না। মূলত তাকে মানসিকভাবে সফট্ করার জন্যই নিজের কৌশলগত অবস্থান থেকে তাকে বিয়ের প্রস্তাবটি দিয়েছিলাম। আমি ভেবেছিলাম এই ওষুধে কাজ হবে। আমি ভুলে গিয়েছিলাম ওষুধ সব সময় রোগীর পক্ষে নিদান বয়ে আনে না। মূলত আমার দেয়া ওষুধে রোগী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুটিং এর আগে বা শুটিং চলাকালীন সময়ে তার সঙ্গে কাজের বাইরে কোনো কথা বলতে যাইনি। ইনবক্সেও কিছু লিখিনি। এবার আমার প্রশ্ন হচ্ছে, শুটিং এর সময়ে সে আমার সঙ্গে এমন নিকৃষ্টতম আচরণগুলো কেনো করেছিলেন?
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন