পরীক্ষার হলে ঢুকে শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছে বখাটেরা
নাটোরের গুরুদাসপুরে বেগম রোকেয়া গালর্স স্কুল পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে নবম শ্রেণির (কারিগরি শাখা) বোর্ড সমাপনী পরীক্ষা দিতে আসা একছাত্রকে পিটিয়ে আহত করেছে বখাটেরা। শান্ত কুমার সরকার (১৫) নামের ওই শিক্ষার্থীকে বখাটেরা লোহার রড ও কাঠের পাটাতন দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। সে গুরুদাসপুর উপজেলার নুর মোহম্মদ বিশ্বাস টেকনিক্যাল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র।
রোববার সকালে উপজেলার বেগম রোকেয়া গালর্স স্কুলের ভেতরে ঢুকে ওই ঘটনা ঘটায় বখাটেরা। সে সময় শান্তর চিৎকারে অন্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে গিয়ে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় স্কুলের ভেতরে থাকা অন্য শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। পরে আহত শান্তকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবার পরীক্ষার হলে পাঠানো হয়।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শান্ত কুমার সরকার গুরুদাসপুরের সিধুলী গ্রামের অখিল চন্দ্র সরকারের ছেলে। ঘটনার সময় রোকেয়া গালর্স স্কুলে শান্ত ও তার বন্ধু মোবারক পাশাপাশি সিটে বসে নবম শ্রেণির কারিগরি বোর্ডের অধীনে সমাপনী পরীক্ষা দিচ্ছিল। সে সময় স্থানীয় কয়েকজন বখাটে যুবক পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে মোবারককে মারধর করতে থাকে। তখন মোবারকের বন্ধু শান্তু তাদের বাধা দিলে বখাটেরা লোহার রড ও কাঠের পাটাতন দিয়ে শান্তকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে পালিয়ে যায়। তখন শান্তর মাথা ফেটে রক্ত বের হয়ে গড়িয়ে পড়তে থাকে। পরে শান্তকে অন্য শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
হাসপাতালে নেওয়ার পর আহত শান্ত জানায়, স্থানীয় কয়েকজন বখাটে যুবক- মিঠুন, ওসামা, রফিক, কাজল ও লিখন পরীক্ষার হলের ভেতরে এসেই মোবারককে মারধর শুরু করে। সে সময় বাধা দিলে বখাটেরা আমার ওপর হামলা করে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রবিউল করিম জানান, আহত শিক্ষার্থী শান্তর মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মুখে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমকি চিকিৎসা দেওয়ার পর শান্তকে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বেগম রোকেয়া গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সতত্য নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি শান্ত ও মোবারকের পরিবারকে জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস বলেন, খবর পেয়ে তিনি নিজেই পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে তখন কোনো বখাটেকে সেখানে পাওয়া যায় নি। এ ব্যাপারে এখনো কোনো মামলা হয় নি। মামলা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নাটোরে পুকুরে ডুবে ৪ শিশুর মৃত্যু
জেলার গুরুদাসপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই পরিবারের চার শিশুর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন
নাটোরে বিয়ের ঘটকালী করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার নারী
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় বিয়ের ঘটকালী করতে গিয়ে এক নারী ঘটকবিস্তারিত পড়ুন
নাটোরে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ
আজ সোমবার নাটোরের লালপুর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজ সেবাবিস্তারিত পড়ুন