পরীক্ষা দিতে এসে কাঁদলেন শিক্ষার্থীরা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম পরীক্ষার দিনেই কাঁদলেন শিক্ষার্থীরা। তবে প্রশ্ন কমন না পড়া কিংবা শিক্ষকদের বকুনির জন্য নয়, হলে আসন না পেয়েই তারা কেঁদেছেন। এক ভবন থেকে আরেক ভবনে ছুটাছুটি করতে করতে তারা হয়রান হয়ে পড়ে। কেউ কেউ ভেঙে পড়ে মানসিকভাবে। আবেগাপ্লুত হয়ে কাঁদতে শুরু করেন তারা।
এ ঘটনা শনিবার দুপুরে যশোর এমএস কলেজ কেন্দ্রের। এদিন ছিল ইংরেজি পরীক্ষা। এমএম কলেজ কেন্দ্রর পরীক্ষার্থী ছিল ৩৪২৫ জন। তারা নির্ধারিত আসন না পেয়ে কান্নাকাটি ও হয়রানিতে পড়েন।
শিক্ষার্থীদের নতুন রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দেয়া হলেও পরীক্ষা কমিটির কাছে সরবরাহ করা পুরাতন নাম্বার অনুপাতে আসন বিন্যাস করায় এ ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে নিয়ম ভেঙে শিক্ষার্থীদের আসনের স্থান উন্মুক্ত করা হয়।
পরীক্ষা কেন্দ্র সূত্র মতে, শনিবার থেকে শুরু হয়েছে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা। প্রথম দিন বেলা একটায় ছিল ইংরেজি পরীক্ষা। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে থেকে আসনের জন্য এক ভবন থেকে অন্য ভবনে ছুটেন। কিন্তু কোনো শিক্ষার্থীই তাদের নির্ধারিত ছিট বা আসন খুঁজে পাননি। এঅবস্থায় ঘড়িতে তখন (পরীক্ষায় সময়) বেলা ১ টা বেজে যায়। শিক্ষকরা পরীক্ষার কক্ষে খাতা ও প্রশ্নপত্র নিয়ে চলে এসেছেন। তখন পরীক্ষার্থীদের কান্নাকাটির অবস্থা দেখে কক্ষ পরিদর্শকরা এগিয়ে এলেন। শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেখে কক্ষ পরিদর্শকরা বুঝলেন সিট প্ল্যানে এধরনের কোনো নাম্বারই নেই।
এমএম কলেজের পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক সোলজার রহমান জানান, শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার সম্প্রতি পরিবর্তন করে নতুন নাম্বার দেয়া হয়েছে। পরীক্ষা কমিটির কাছে নতুন নাম্বারের তালিকা সরবরাহ না করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুরাতন তালিকা সরবরাহ করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী আসন বিন্যাস করা হয়। এজন্য আসান বিন্যাসে যে নাম্বার ব্যবহার করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের সাথে থাকা নাম্বারের সাথে মিল নেই। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষা কমিটির বুঝে উঠা সম্ভব না।
অধ্যাপক সোলজার রহমান আরও জানান, আসন না পেয়ে শিক্ষার্থীরা স্ব-স্ব কলেজের অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানকে এখবর জানালে তারা (অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধান) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেন। কর্মকর্তারা বলেন, আগেরটা বাদ দিয়ে নতুন রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দেয়া হয়েছে। যেটা ওয়েবসাইডে পাওয়া যাবে। তখন ওয়েবসাইড থেকে সেই কপি নামিয়ে নেয়া হয়। আর সমস্যা নির্ণয়ের সাথে সাথে পরীক্ষার্থীদের আসন উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এ সুযোগে তারা যেখানে ফাঁকা পান সেখানে বসে পরীক্ষা দেন।
এমএম কলেজের উপাধ্যক্ষ শফিউল আলম সরদার বলেন, এখন রেজিস্ট্রেশন ও রোল নাম্বার একটিই। পরিবর্তন করা রেজিস্ট্রশন নাম্বার না দিয়ে সংশ্লিষ্টরা পুরাতন নাম্বার সরবরাহ করে। এতে সিটপ্ল্যান খুঁজে পায়নি শিক্ষার্থীরা। এজন্য পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীরা মানসিক আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
পরীক্ষা কেন্দ্র উপস্থিত স্বজনরা জানান, শিক্ষার্থীরা এক ভবন থেকে অন্য ভবনে হুড়োহুড়ি করে তাদের নির্ধারিত আসন খুঁজছিলেন। কিন্তু না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন অনেকে। বিশেষ করে এমএম কলেজ কেন্দ্র জেলার প্রত্যন্ত এলাকার ১৮টি কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। গ্রামের অনার্স কলেজ থেকে এসে ছিট না পেয়ে তারা আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
বেনাপোলের কিশোরী জোনাকির মরদেহ যশোরে উদ্ধার
যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়া মডেল মসজিদের পাশে একটি পুকুর থেকেবিস্তারিত পড়ুন
শিশুর গলায় পিস্তল ঠেঁকিয়ে স্বর্ণালঙ্কার লুট
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ঝাউদিয়া গ্রামেবিস্তারিত পড়ুন
জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘিরে অভিযান
জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে যশোর পৌর এলাকায় একটি দোতলা বাড়ি ঘিরেবিস্তারিত পড়ুন