পরীমনির প্রশ্ন, পারবেন উত্তর দিতে?
অভিনেত্রী বর্তমানে বাহাদুরি নিয়ে ব্যস্ত আছেন। তাই বলে চোখ কান কিন্তু বন্ধ নেই।
পরীমনির আলাদা একটা পরিচয় আছে। বিপদে মানুষের পাশে দাড়ানোর বাতিক আছে পরীমনির। এটাকে মানুষজন ইতিবাচক নিক, আর নেতিবাচকই নিক তাতে পরীমনির কিচ্ছুটি যায় আসে না। তবে এবার পরীমনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশকিছু প্রশ্ন করেছেন। ভক্তদের উদ্দেশ্যে করা এই প্রশ্নের উত্তরগুলো নিসচই একটু হলেও ভাবার মতো।
পরীমনি প্রশ্ন করেছেন, ‘আচ্ছা আমাদের মধ্যে কজন দেখেছি,শুনেছি বা করেছি যে খাবার সময় যদি কোন অপরিচিত লোক, মুসাফির অথবা কোন ভিক্ষুক আপনার খাবার সময় চলে আসে তখন তাকে তার খাবার কথা জিজ্ঞাসা করা, তার জন্যেও ওই খাবার ব্যবস্থা করা, না হলে নিজের খাবারটাই ভাগ করে খাওয়া অথবা খাবারটা তার সামনে না খাওয়া?’
সামাজিকতার দৈনন্দিন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেছেন, ‘আমরা আজ ভীষণ সামাজীক জীব হয়ে গেছি। ফেসবুকই এখন সমাজের সামাজিক মাথা আহা, আমার মনে হয়, নব্বই শতাংশ সামাজীক জীবগণ তাদের দৈনন্দিন জীবন বৃত্তান্ত হিসেব দেন এই ফেসবুকের খাতায়। কখন তারা ওঠে, কখন বসে,কখন শোয় থেকে শুরু করে পেটের কৃমির খবর অবধি সবকিছু। একটা বার ও তারা ভাবছে না এখানে আরো মানুষ আছেন যারা এটাকে কেবল প্রয়োজনেই ব্যবহার করছেন?’
আক্ষেপ করে পরীমনি লিখেছেন, ‘আপনার স্বাধীন ফেসবুক সামাজে আপনার এই বেহায়াপনা না হয় সভ্য লোকে এড়িয়ে যাবে। কিন্তু এর মধ্যে একটা কাজ করছেন যেটা কিনা গোটা মানুষ জাতির কেউই বিরক্ত হয়ে এড়াতে পারে না। সেটা হলো, ক্ষুধার্ত কোন চোখের সামনে আপনার আপলোড করা বাহারি খাবারের ছবি। আমাদের কি এটা না করলেই নয়?
মিডিয়া কর্মীদের অনুরোধ করে পরীমনি বলেছেন, ‘বিশেষ করে আমি আমার মিডিয়া কর্মীদেরকে অনুরোধ করছি অন্তত আমরা বিরত থাকি দয়া করে, কারণ শত শত জনতা আমাদেরকে অনুসরণ করে। আমাদের একটা কাজ, একটা কথা সমাজ পরিবর্তনে অনেক বড় ভুমিকা রাখে। আমাদের ওয়ালের এই রকমারি্ খাবারের একটা ছবি হতে পারে কারো দারিদ্রকে আঘাত করা, করো ক্ষুধার তীব্রতা বাড়ানো কারো অনাহারি শুকনো মুখে অতৃপ্তের লালা ঝড়ানো। ‘
পরীমনি প্রশ্ন অবতারণার কারণ সম্পর্কে লিখেছেন, এই কথা গুলো আমি অনেক বার লিখতে চেয়ে লিখিনি। ভাবছিলাম কারো ভরা পেটে এই লেখার কদর হবে না। আজ রোজার দিনেও যখন দেখি লোকে টেবিল ঠাসা নানারকম ইফতারির ছবি দিতেও বাদ রইলো না তখনো লিখতে পারলাম না। কিন্তু আজ আমি একজন রোজাদারকে দেখেছি যে তার অসুস্থ বৃদ্ধ স্বামীর একটু ভালো খাবার আর ওষুধের জন্যে রমজানের মাস ছাড়াও চার বছর ধরে বছরে গড়ে আট-নয় মাস রোজা রাখেন! এক গ্লাস পানি আর একমুঠো সুকনো মুড়ি তার ইফতারি! এবার ভাবুন ফেসবুকের ছবির জন্যে সাজানো আপনার ঘরের ইফতারের টেবিল আর এ রকম কত শত দুখি মানুষের অনাহারের কাহিনি। ‘
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন