পরোয়ানা জারির ১২ দিনেও গ্রেফতার হননি এসআই রতন
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ১২ দিন পার হলেও এখনো গ্রেফতার হননি আদাবর থানার এসআই রতন কুমার। তাকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে রাখা হয়েছে। আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফারজানা আক্তারকে নির্যাতনের অভিযোগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আদালত এসআই রতনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
পরোয়ানা জারির পরের দিনই আদেশের কপি আদাবর থানায় পাঠানো হয়। তবে আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী শাহীনুর রহমান দাবি করছেন, থানায় সেই কপি এখনো পৌঁছায়নি।
আদালত পুলিশের এএসআই হেলাল জানান, এসআই রতনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরদিনই আদেশের কপি একজন প্রোসেস সার্ভেয়ারের মাধ্যমে আদাবর থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। থানার একজন এসআই সেই আদেশের কপি গ্রহণ করেছেন।
এদিকে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘আমার জানা মতে, আদালতের আদেশ এখনো আমার অফিসে আসেনি। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক এসআই রতনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফারজানা আক্তার ক্লাস শেষে রিকশা নিয়ে বই কেনার জন্য শিয়া মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় এসআই রতনসহ তিন পুলিশ সদস্য তার গতিরোধ করেন। তাকে রিকশা থেকে নামিয়ে এক দোকানে নিয়ে গিয়ে তল্লাশির নামে হয়রানি করেন। তাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বানানোর অপচেষ্টা করা হয়। স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে ছাড়া পেয়ে ফারজানা আক্তার থানায় অভিযোগ দেন ওই রাতেই। থানা পুলিশ অভিযোগ না নিলে পরে ওই এলাকার ডিসিকে বিষয়টি জানানো হয়। ডিসি তার অভিযোগের ভিত্তিতে এসআই রতনকে প্রত্যাহার করে নেন।
পরের দিন ১ ফেব্রুয়ারি ফারজানা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই দিন আদালত মামলা আমলে নিয়ে বিষয়টি তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। একই দিন তেজগাঁও বিভাগের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই দিন তাকে প্রত্যাহার করা হয়।
৮ ফেব্রুয়ারি ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার জানান, পুলিশের তদন্ত কমিটি ছাত্রী হয়রানির ঘটনায় কোনো প্রমাণ পায়নি। তিনি বলেন, ‘তেজগাঁও বিভাগের এডিসি আনিসুর রহমান ও মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার হাফিজ আল ফারুকের নেতৃত্বে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল, সেই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তাতে ছাত্রী হয়রানির কোনো প্রমাণ মেলেনি।’
এরপর ১০ ফেব্রুয়ারি বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয় আদালতে। সেখানে বলা হয়, আদালতের নির্দেশে ছাত্রী হয়রানির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি দীর্ঘ অনুসন্ধান চালিয়ে এসআই রতনের বিরুদ্ধে ছাত্রী হয়রানির প্রমাণ পেয়েছে।
এরপর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালত ১৬ ফেব্রুয়ারি এসআই রতনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী সেই ছাত্রী ফারজানা আক্তার বলেন, ‘আমি বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি, গত তিন দিন আগে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা আদাবর থানায় পৌঁছেছে। তবে পুলিশ কেন এসআই রতনকে গ্রেফতার করছে না, তা জানা নেই। তার গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে টালবাহানা চলছে। তবে এসআই রতন গ্রেফতার অবশ্যই হবে। কারণ আগামী ১৬ মার্চ আদালতে শুনানির দিন ধার্য আছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন