পলাতক জামায়াত নেতার জামিন, জানে না রাষ্ট্রপক্ষ
রাজধানীর উত্তরা থানার দুটি নাশকতার মামলায় তিন বছর ধরে পলাতক থাকা এক জামায়াত নেতাকে জামিন দিয়েছেন আদালত। এ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জামায়াতের ওই নেতা নাম জাকির হোসেন। মামলার এজাহারে তাঁকে জামায়াত নেতা হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিম ওয়ায়েজ কুরুনি খান চৌধুরী তাঁকে জামিন দিয়েছেন। তবে সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে আইনজীবীদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
আজ সোমবার সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) আজাদ রহমান অনলাইনকে বলেন, রাজধানীর উত্তরা থানার দুটি নাশকতার মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি জাকির হোসেনকে জামিন দেন হাকিম ওয়ায়েজ কুরুনি খান চৌধুরী। সেদিন ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক হাসিবুল হক ছুটিতে ছিলেন। এ কারণে ভারপ্রাপ্ত বিচারক ওয়ায়েজ কুরুনি চৌধুরী জামিনের দরখাস্ত দুটি শুনানির উদ্দেশে টোকেন পাঠিয়ে ওই মামলা দুটির নথি সংগ্রহ করে নিজের আদালতে নেন এবং তিনি রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আইনজীবীর বক্তব্য না শুনেই পলাতক জাকির হোসেনকে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন দেন।
এপিপি আজাদ রহমান আরো বলেন, ‘মামলাটির জামিনের ব্যাপারে চরম অনিয়ম করা হয়েছে। আমাকে এ মামলার জামিনের দরখাস্তটি দেখানোই হয়নি। অথচ নিয়ম হলো, যেকোনো আবেদন রাষ্ট্র ও আসামি দুই পক্ষেরই বক্তব্য শুনেই মঞ্জুর অথবা নামঞ্জুর করতে হয়।’ তিনি বলেন, জামিনের তথ্য ও জামিন প্রক্রিয়া নিয়ে সবিশেষ অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়ার কারণে আদালতে আনতে দেরি হয়ে গেছে। রাষ্ট্রপক্ষ জামিন বাতিলের আবেদন করবে বলেও তিনি জানান।
বিচারক ওয়ায়েজ কুরুনি খান চৌধুরীর আদালতে কর্মরত অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ফজলে রাব্বী খোকাও নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল্লাহ আবু সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানতাম না। জামিনে এটি ভয়ংকর অনিয়ম। আমরা জামিন বাতিলের আবেদন করব।’
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সরকারবিরোধী কর্মসূচি চলাকালে উত্তরায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল বের করে তৎকালীন চারদলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ত্রাসের সৃষ্টি করে।
এজাহারে আরো বলা হয়েছে, জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির ড. শরীফুর রহমানের নেতৃত্বে এ মিছিল বের করা হয়। ওই স্থান থেকে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৪৫ আসামির নাম উল্লেখ করে ১৫০/২০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে উত্তরা পূর্ব ও উত্তরা পশ্চিম থানায় দুটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
দুটি মামলায় জামায়াত নেতা জাকির হোসেনের নাম রয়েছে।
মামলার ১০ দিনের মাথায় ৪ ডিসেম্বের মামলা দুটির অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় ঢাকার সিএমএম আদালতে। এরপর ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার আদালতে মামলাটি বিচারের জন্য স্থানান্তর করা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন