পাকা ফসল হারিয়ে কৃষকদের মাঝে হাহাকার

হবিগঞ্জে প্রবল বৃষ্টিপাত ও অকাল বন্যায় পাকা বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নষ্ট হয়েছে ৩৯ হাজার ২৬২ হেক্টর জমির ফসল।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নষ্ট হয়েছে বানিয়াচং উপজেলার হাওরের ফসল। পাকা ও আধা-পাকা ফসল হারিয়ে কৃষকদের মাঝে হাহাকার দেখা দিয়েছে।
কেউ কেউ চেষ্টা করছেন আধা-পাকা ধান পানির নিচ থেকে কেটে তুলে যদি কিছু পাওয়া যায়। জেলার সব কৃষকের মাঝে এখন এ অবস্থা বিরাজ করছে। ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকদের কষ্টে ফলানো ফসল।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলার ৮টি উপজেলার মধ্যে ৭টি উপজেলায় এ পর্যন্ত ৩৯ হাজার ২৬২ হেক্টর জমির বোরো ফসল নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে বানিয়াচংয়ে ২০ হাজার ১৭০ হেক্টর, আজমিরীগঞ্জে ৬ হাজার ৪৮০ হেক্টর, লাখাইয়ে ৭ হাজার ৫০ হেক্টর, নবীগঞ্জে ২ হাজার ৭৮০ হেক্টর, হবিগঞ্জ সদরে ১ হাজার ৬৯৫ হেক্টর, বাহুবলে ১ হাজার ১৭ হেক্টর ও চুনারুঘাট উপজেলায় ৭০ হেক্টর জমির বোরো ফসল নষ্ট হয়েছে।
বেসরকারি হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভাটি এলাকায় নদ-নদীতে আশঙ্কাজনকভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিদিনই নতুন নতুন ফসলি জমি প্লাবিত হচ্ছে।
আতঙ্কিত কৃষকরা অবশিষ্ট ফসল রক্ষার জন্য আধা-পাকা ধান কেটে নেয়ার চেষ্টা করছেন। ধান কাটা শ্রমিকের অভাবে অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পানিতে নিমজ্জিত জমি থেকে আধা পাকা ধান কাটছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ফজলুর রহমান বলেন, প্রতিদিনই ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বছর জেলায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হলেও চাষাবাদ হয় ১ লাখ ১৬ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে।
কৃষকরা যখন বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছিলেন ঠিক সেই মুহূর্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাদের দারুণভাবে আশাহত করেছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

বানিয়াচং উপজেলায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে, ৩ জনে মৃত্যু
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রেবিস্তারিত পড়ুন

হবিগঞ্জে ট্রাক-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে ৫ জন নিহত
হবিগঞ্জের মাধবপুরের হরিতলা বাদশা গেইট এলাকায় ট্রাক ও প্রাইভেটকার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন

‘ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে’ গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ‘ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে’ এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করাবিস্তারিত পড়ুন