পাকিস্তানকে তুলাধুনা করল ভারত
পাকিস্তানকে কথায় তুলাধুনা করল ভারত।
জাতিসংঘে ভারতের বিরুদ্ধে কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনার পর একই মঞ্চে পাকিস্তানকে একহাত নিল ভারত।
ভারতের মতে, পাকিস্তান একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। পাকিস্তান একটি সন্ত্রাসী চক্র। গণতান্ত্রিক সংকটের দেশ পাকিস্তান। নিজের জনগণ নিয়ে সন্ত্রাসের চর্চা করে তারা। পাকিস্তান এমন একটি দেশ, যারা যুদ্ধাপরাধ লালনপালন করে।
জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বক্তব্যকে ‘মিথ্যায় ভরপুর’ বলে উল্লেখ করে ভারতের বিরুদ্ধে তার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি এনাম গম্ভীর। রাইট অব রিপ্লাইয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলেন তিনি।
গম্ভীর বলেন, মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনই সন্ত্রাস। যখন তা রাষ্ট্রীয় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তখন তা যুদ্ধাপরাধ। আমরা ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো আজ যা মোকাবিলা করছে, তা হলো পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের লালিত সন্ত্রাসবাদ। আমাদের অঞ্চলে মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এই সন্ত্রাসবাদ।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, ৯/১১ হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া হয় পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদ গ্যারিসনে বসে। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষাকেন্দ্র তক্ষশীলার মাটি আজ সন্ত্রাসী চক্রের অধীনে। সেই সন্ত্রাসের বিষে আজ প্রভাবিত পুরো বিশ্ব।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিয়েও পাকিস্তানকে আক্রমণ করেন গম্ভীর। তিনি বলেন, বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার অর্থ সহযোগিতা নেয় পাকিস্তান। যার একটি বড় অংশ চলে যায় সন্ত্রাসীদের কাছে। প্রশিক্ষণ দিয়ে, অর্থায়ন করে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে যেমন- ভারত ও আফগানিস্তানে জঙ্গি তৎপরতা চালাতে সাহায্য করে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ কাশ্মীরে ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি বলতে গিয়ে হিজবুল মুজাহিদিনের বুরহান ওয়ানির নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে গম্ভীর বলেন, এখনো পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী একজন সন্ত্রাসীদের পক্ষে কথা বলছেন।
ভারত-শাসিত কাশ্মীরে গত রোববার সেনাঘাঁটিতে হামলায় নিহত হন ১৯ ভারতীয় সেনা। ভারতের দাবি, পাকিস্তান থেকে এসে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। পাকিস্তান একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। এ নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মহল ও দক্ষিণ এশিয়ায় একঘরে করার ঘোষণা দিয়েছে ভারত। জাতিসংঘে পাকিস্তানকে তুলাধুনা করার কারণই হলো তাদের আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে বিচ্ছিন্ন করা।
কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘে কথা বললেও তা কানে তোলেননি বিশ্বনেতারা। উল্টো তারা ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস মদদ দেওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন। পরমাণু অস্ত্র কার্যক্রম হ্রাস করতে বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন