পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের জঘন্য কিছু স্ক্যান্ডাল!
ক্রিকেট বিশ্বে পাকিস্তান স্ক্যান্ডালের দিক দিয়ে সবসময়ই শীর্ষে থাকে। সেটা নারীঘটিত হোক কিংবা ড্রাগ গ্রহণ হো কিংবা মাঠের ঘটনাই হোক, পাকিস্তান সবার চেয়ে এগিয়ে।
এসব অপকর্মে জড়িয়ে অনেক ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে। অনেকে আবার নতুন করে ফিরেও এসেছেন। এখানে রইল তেমন কিছু স্ক্যান্ডালের কাহিনী:
বউ-শাশুড়িকে পিটিয়ে মঈন খানের হাজতবাস: পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মঈন খানকে হাজতবাস করতে হয়েছিল তার স্ত্রী এবং শাশুড়িকে মারধরের অভিযোগে। ২০০৭ সালের জানুয়ারির এই ঘটনায় দিন দুয়েক হাজতবাসের পর বন্ডসই করে তিনি জামিন পান। তবে অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে তাকে আদালতে স্ত্রীকে মারধর করবেন না- এই মর্মে বন্ডসই দিতে হয়েছিল!
ওয়েস্ট ইন্ডিজে ৪ বোলারের হাজতবাস: ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, মুশতাক আহমেদ এবং আকিব জাভেদ-পাকিস্তানের এই দুধর্ষ চার বোলারকে গ্রেফতার করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের পুলিশ। ১৯৯৩ সালে গ্রানাডার একটি সমুদ্র সৈকত থেকে নিষিদ্ধ মাদক গ্রহণরত অবস্থায় তাদের আটক করা হয়। সেবার এক রাত তাদের জেলে কাটাতে হয়েছিল!
ম্যাচ ফিক্সিং করে সেলিম মালিকের কারাগমন: ২০০০ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয় সেলিম মালিককে। তিনিই প্রথম ক্রিকেটার যাকে এই জঘন্য অপরাধের জন্য জেলে যেতে হয়েছিল।
মোহাম্মদ আসিফের নারী কেলেঙ্কারি : পাকিস্তানি টিভি তারকা বীনা মালিকের সঙ্গে লজ্জাজনক স্ক্যান্ডালে জড়িয়েছিলেন মোহাম্মদ আসিফ। বীনা অভিযোগ করেছিলেন, আসিফের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। তিনি নিজের টাকায় আসিফকে একটি গাড়িও কিনে দিয়েছেন। বীনা আসিফের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এবং টাকা ফেরতের আবেদন জানান।
সালমান, আমির, আসিফের জেল: ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে পাক ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে আলোচিত ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ঘটনাটি ঘটে। বেটিংয়ের ঘটনায় ব্রিটিশ কোর্টে টিনএজ বোলার মোহাম্মদ আমিরের ৬ মাসের জেল হয়। তাকে কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। এছাড়া সালমান বাট ৬ মাস এবং মোহাম্মদ আসিফের ১ বছরের জেল হয়।
শোয়েব আখতারের নিষেধাজ্ঞা: রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস জীবনযাপনে ভীষণ বেপরোয়া ছিলেন তা সবার জানা। ২০০৮ সালের এপ্রিলে এই স্পিডস্টারকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়। তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের গুরুতর অভিযোগ ছিল। আগের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির সময় দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে সতীর্থ মোহাম্মদ আসিফের সাথে বিবাদে জড়িয়েছিলেন তিনি।
পরীক্ষা হলে নকল করতে গিয়ে গ্রেপ্তার নাসির জামসেদ: ২০১০ সালের এপ্রিলে তৎকালীন পাক ওপেনিং ব্যাটসম্যান নাসির জামশেদ গুরুতর এবং লজ্জাজনক এক অপরাধ করে বসেন! শিক্ষাজীবনের নাইন্থ গ্রেডের ইংরেজী পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে ধরা পড়েন তিনি। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ২০০০০ রুপির বিনিময়ে জামিন পেলেও পরীক্ষা দেওয়া আর হয়নি।
শোয়েব মালিকের নারী কেলেঙ্কারি: সানিয়া মীর্জাকে বিয়ে করে বর্তমানে ভারতের জামাই শোয়েব মালিক। অথচ ২০০৮ সালে এই শোয়েব মালিকের বিরুদ্ধেই গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন ভারতেরই এক নারী আয়েশা সিদ্দিকী! আয়েশার দাবি ছিল, তারা ২০০৩ সালের জুনের ৩ তারিখ বিয়ে করেছিলেন। সানিয়াকে বিয়ে করার পরও এই স্ক্যান্ডাল খুব ভুগিয়েছে শোয়েবকে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন