`পাকিস্তানি শেখানো বুলি আওড়াচ্ছেন খালেদা’ আ ক ম মোজাম্মেল হক
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পাকিস্তানি প্রভূদের শেখানো বুলি আওড়াচ্ছেন বলে সংসদে বলেছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। রোববার দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশেনে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামালের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) যেভাবেই হোক দশ বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ইতোমধ্যে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে সাকা চৌধুরী এবং মুজাহিদির ফাঁসি হওয়ার পর তারা অনেক কথা বলেছে, নিন্দা করেছে, মুক্তিযুদ্ধে এতলোক মারা যায়নি তা অস্বীকার করেছে। তারা যা যা বলেছে দুই দিন পরে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী তিনিও একই কথা উচ্চারণ করেছেন। যা করার পর বাংলাদেশে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়ার এই কথা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিরা মেনে নিতে পারে নাই।
‘আমি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী হিসেবে বেগম জিয়ার ১০বছর প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে প্রতিবছর স্বাধীনতা এবং বিজয় দিবসের জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া বাণী ও ক্রোড়পত্র সংগ্রহ করে দেখেছি সেখানে তিনি প্রতিবারই ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা বলেছেন। কিন্তু আজকে তিনি পাকিস্তানি প্রভূদের শেখানো বুলি তোতাখাখি বা ময়না পাখির মতো আওড়াচ্ছেন।’
‘তার এই বক্তব্য মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী স্বপক্ষরা শক্তির মানুষেরা খুব বেশী উদ্বিগ্ন। তারা দাবি করছে, সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে স্বীকৃত বিষয়গুলো নিয়ে আইন করার দাবি করছে। অচিরেই মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে বিতর্কিত কথা বলার জন্য বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে যে আইন আছে বাংলাদেশেও এই আইন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা (মুক্তিবার্তা/গেজেট) সংরক্ষিত আছে। সরকার প্রথমবারের মতো রাজাকারদের নামসহ তালিকা করার উদ্যোগ নিয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, আলবদর, আলসামছ এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের সঠিক নামের পূর্ণ তালিকা সরকারিভাবে তৈরি করা হয়নি এবং সংরক্ষণও করা হয়নি। তবে রাজাকারদের নামসহ তালিকা প্রণয়নের উদ্যেগ সরকারের রয়েছে।
একই প্রশ্নকর্তার সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত সময়পযোগী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের চেষ্টা অব্যহত আছে। যারা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে রাজাকাদের ভাতা দিতো সেই তালিকাও সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেই তালিকাসহ সকল রাজাকারদের নামসহ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পরেও তাদের যাতে চিনতে পার যায়, সেই লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের কবর একই ডিজাইনে করা হবে। যাতে কবর দেখলেই বুঝা যায় এটি মুক্তিযোদ্ধার কবর।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন