পাকিস্তানের নির্বাচকদের একহাত নিলেন আজমল!
ধারাবাহিকভাবে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে উপেক্ষিত পাক অফস্পিনার সাঈদ আজমল এবার সেদেশের নির্বাচকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝাড়লেন। সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের দায়ে সাময়িক নিষিদ্ধ এই ক্রিকেটার অ্যাকশন শুধরেও দলে ফিরতে পারছেন না। তাকে বাদ দেওয়ার জন্যই নির্বাচকরা সবসময় চেষ্ঠা করেন বলে ধারণা ঘরোয়া টি-২০ টুর্নামেন্টে সেরা উইকেট শিকারী ৩৯ বছর বয়সী আজমলের।
ক্যারিয়ারের ক্রান্তিলগ্নে এসেও সর্বশেষ গতমাসে পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-২০ টুর্নামেন্টে করাচি ব্লু-এর হয়ে ৯ ম্যাচে ২০ উইকেট শিকার করে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েছেন আজমল। কিন্তু নির্বাচকদের সুদৃষ্টি অর্জন করতে পারেননি। আজমল বলেছেন, “আমি কিছুতেই বুঝতে পারি না যে নির্বাচকরা কেন আমাকে চান না? আমাকে শুধু বলা হচ্ছে যে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল পারফর্মেন্স করতে হবে। ঘরোয়া ক্রিকেটে এতগুলো উইকেট শিকারের পর আমাকে আর কী কী প্রমাণ করতে হবে সেটাও বুঝতে পারছি না। তারা যদি আমাকে দলে নিতে না চান তবে এরকম নাটক না করে সোজাসুজি বললেই হয়।”
আজমল আরও বলেন, “মুলতানে ঘরোয়া টি-২০ টুর্নামেন্টে আমি সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেছি। ওরস্টারশায়ারের হয়ে ইংলিশ ঘরোয়া লিগেও টুর্নামেন্ট সেরা বোলার হয়েছি। পাশাপাশি ঘরোয়া ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলে যাচ্ছি। ফিটনেস ঠিক রাখতে আমি প্রতিদিন প্রচুর পরিশ্রম করি। এসব কী জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়?”
২০১৪ সালে আজমলের বোলিং অ্যাকশন ‘সন্দেহজনক’ ঘোষণা করে আইসিসি। অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন বোলিং পরীক্ষা দেওয়ার পর জানা যায় তার কনুই ১৫ ডিগ্রির চেয়ে বেশি বেঁকে যাচ্ছে। যে কারণে তাকে সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর অ্যাকশন শুধরে আবারও চেন্নাইয়ে বোলিং পরীক্ষা দিতে যান আজমল। সেখানে তার বোলিং অ্যাকশনকে বৈধ ঘোষণা করা হয়। গেল বছর বিশ্বকাপের সপ্তাহখানেক আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে আইসিসি থেকেও সবুজ সংকেত মিলে। কিন্তু তিনি বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি। এরপর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে ধবলধোলাই হওয়া সিরিজটাই তার সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলা।
ক্ষোভে দুঃখে আজমল বলেন, “সম্ভবত জাতীয় দলে নির্বাচকরা একজন অফস্পিনারের অভাব বোধ করেন না। আমি জানি, দেশকে এখনও আমার অনেক কিছু দেওয়ার বাকী। ঘরোয়া ক্রিকেটে আমি তার প্রমাণও রেখেছি। কিন্তু আমি এমন কোনো ‘ম্যাজিক ডেলিভারি’ দিতে পারব না যেটা ব্যাটসম্যানের সামনে অদৃশ্য হয়ে যাবে! নির্বাচকরা বোধহয় আমার কাছে এমন কিছুই চান! এজন্যই সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের নাটক করা হয়েছে শুধুমাত্র ক্রিকেট থেকে আমাকে নিষিদ্ধ করার জন্য।”
ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সাবেক এক নম্বর বোলার আজমল এবছর কোনো প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেননি। কারণ হিসেবে বলেছেন, এই বয়সে তার পাকিস্তানের হয়ে কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলার ইচ্ছে নেই। তাছাড়া পাকিস্তানের বর্তমান টেস্ট দল সুপ্রতিষ্ঠিত। সেখানে তার প্রয়োজন নাও থাকতে পারে। কিন্তু র্যাংকিংয়ের ৮ নম্বরে থাকা ওয়ানডে দলকে তিনি অনেক কিছুই দিতে পারবেন।
সবশেষে আজমল বলেছেন, পিসিবি যদি তাকে আর দলে নিতে না চায় তবে যেন অন্তত একটা বিদায়ী ম্যাচের আয়োজন করে। এর অর্থ, পিসিবি যেন আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় যে তাকে আর দলে দরকার নেই। শহিদ আফ্রিদির বিদায়ী ম্যাচ নিয়ে সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে আজমলের বিদায়ী ম্যাচের বিষয়টিও বারবার উচ্চারিত হয়েছে বলে তার দাবি। তার কথায়, “আমি এখনও খেলতে পারি। দেশের হয়ে আরও খেলতে চাই এবং সম্মানজনকভাবে বিদায় নিতে চাই। আমি কি পেতে পারি না এই সুযোগ?”
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন