বর্তমানে পাকিস্তানে মজুত পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা ১৩০ থেকে ১৪০টি। পরমাণু অস্ত্রসংক্রান্ত ‘বুলেটিন অব অ্যাটোমিক সায়েনটিস্টস’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করেছে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, পাকিস্তানের কাছে এখন ১৩০ থেকে ১৪০টি পরমাণু অস্ত্র আছে। ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ভবিষ্যদ্বাণী করেছি, ২০২০ সালের মধ্যে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা ৬০ থেকে ৮০টিতে দাঁড়াবে। কিন্তু এখনই সেই সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। ২০২০ সাল আসতে আসতে পরমাণু অস্ত্রের দিক থেকে ধারণার চেয়ে অনেক দূর এগিয়ে যাবে পাকিস্তান।

অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন আগামী এক দশকে ৩৫০টি পরমাণু অস্ত্রের মালিক হয়ে বিশ্বের তৃতীয় পরমাণু শক্তির দেশ হওয়া পাকিস্তানের পক্ষে অসম্ভব কিছু নয়।

দেশটি তাদের পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার সম্প্রসারিত করতে কাজ করছে। এফ-১৬ যুদ্ধবিমানসহ আরো কিছু যুদ্ধবিমান পরমাণু অস্ত্র নিক্ষেপের উপযোগী করেছে তারা।

হানস এম ক্রিস্টেনসেন ও রবার্ট এস নরিসের যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গ্যারিসন ও বিমানবাহিনীর ঘাঁটিগুলোর বিপুলসংখ্যক বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে মোবাইল লাঞ্চার ও ভূগর্ভস্থ ব্যবস্থাপনা দেখা যায়, যা পরমাণু অস্ত্রসংক্রান্ত কর্মযজ্ঞ বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাকিস্তানি পরমাণু শক্তির ওপর এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটি তাদের পরমাণু অস্ত্রের কার্যক্রম বাড়াচ্ছে। ওয়ারহেড ও উৎক্ষেপণ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হচ্ছে এবং ফিসাইল পদার্থের উৎপাদনে নতুন ইন্ডাস্ট্রি বাড়ছে।

বিজ্ঞানীদের মতে, পরমাণু অস্ত্র নিক্ষেপণ ব্যবস্থায় কিছু উন্নয়ন ঘটিয়েছে পাকিস্তান। এ ছাড়া চারটি প্লুটোনিয়াম উৎপাদন চুল্লি স্থাপন করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম বাড়িয়েছে। আগামী ১০ বছরে পরমাণু অস্ত্রের মজুত আরো বাড়াবে পাকিস্তান।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, যদি বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকে, তাহলে ২০২৫ সাল নাগাদ পাকিস্তানের মজুত পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা দাঁড়াবে ২২০ থেকে ২৫০টিতে। যদি সত্যি তাই ঘটে, তাহলে বিশ্বের পঞ্চম শীর্ষ পরমাণু শক্তির দেশ হবে পাকিস্তান।

তবে আগামী এক দশকে ৩৫০টি পরমাণু অস্ত্রের মালিক হয়ে বিশ্বের তৃতীয় পরমাণু শক্তির দেশ হওয়া পাকিস্তানের পক্ষে সম্ভব নয় বলে বিশ্বাস করেন বিজ্ঞানীরা। কারণ, এ লক্ষ্য অর্জনে তাদের বিগত দুই দশকের চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ বেশি গতিতে কাজ করতে হবে, যা সম্ভব নয়।