‘পাক পুলিশের হাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে’
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার, অত্যাচার থেকে যৌন নিগ্রহ- কোনও কিছুতেই পিছিয়ে নেই পাকিস্তানি পুলিশ। পাক পুলিশের হাতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ সোমবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে এমনটাই দাবি করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’।
বালোচিস্তান, সিন্ধ ও পঞ্জাব রাজ্যের সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা, নিগৃহীত ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাত্কারের ভিত্তিতে ১০২ পাতার এই রিপোর্টটি তৈরি হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দাবি, ২০১৫ সালে দু-হাজারের বেশি ভুয়া এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটেছে।
রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়, ল ফৌজদারি তদন্তের নামে থানায় তুলে এনে হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের যথেচ্ছাচারে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, পুলিশের হাতে নিগৃহীতরা অধিকাংশ হয় ধর্মীয় সংখ্যালঘু, গরিব নয়তো চালচুলোহীন উদ্বাস্তু।
অত্যাচার মানে দু-চার ঘা লাঠির বাড়ি নয়। ব্যাটন দিয়ে পেটানো তো আছেই। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ধাতব রড দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। চলে যৌন নিগ্রহও। এর পাশাপাশি মানসিক নির্যাতনও রয়েছে। একজনকে কী ভাবে পেটানো হচ্ছে, সেটা অন্যদের দেখতে বাধ্য করা হয়।
সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশীয় অঞ্চলের ডিরেক্টর ব্র্যাড অ্যাডমস বলেন, প্রফেশনাল তদন্তের প্রশিক্ষণ ও ফরেন্সিক অ্যানালিসিসের ক্ষমতা না থাকায় পুলিশ জেরার নামে শারীরিক জোর খাটায়।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ভুয়া এনকাউন্টারে হত্যার কথা প্রকাশ্যেই স্বীকার করে নিতে দ্বিধান্বিত নয় পাক পুলিশ। তাদের আরও স্বীকারোক্তি প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা বা স্থানীয় অভিজাতদের চাপেই তারা ভুয়া এনকাউন্টার করতে বাধ্য হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন