পানি যখন পীড়ার কারণ
বাংলাদেশে বর্তমানে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রধানত ই কোলাই নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে এ সমস্যা হয়। সালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়া থেকে টাইফয়েড জ্বরও হচ্ছে। এ দু’ক্ষেত্রেই হালকা বা তীব্র জ্বর থাকতে পারে, সঙ্গে পেট ব্যথা থাকবেই, পাতলা পায়খানা হবে, বমি বমি ভাবও থাকবে। এ সময় পানি পানের প্রবণতা বেড়ে যায় কিন্তু পানির সরবরাহ কমে যায়। ঢাকা শহরের পানি সরবরাহ লাইনের প্রায় ৪০ শতাংশ জায়গায় লিকেজ রয়েছে। এ ছিদ্র পথে প্রস্রাব-পায়খানার জীবাণু পানির পাইপে ঢুকে পানিকে দূষিত করছে। পেট পীড়ার জীবাণু শরীরে প্রবেশের পর রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে ২-৩ দিন সময় লাগে। পক্ষান্তরে এ সময় লিভারের জীবাণু ‘এ’ ও ‘ই’ ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলেও লক্ষণ প্রকাশ পেতে ২-৩ মাস সময় লাগে। গ্রামাঞ্চলেও টিউবওয়েলের পানি বিভিন্ন নদী-নালা, নর্দমা ও বৃষ্টির পানিতে মিশে দূষিত হয়।
স্কুল-কলেজের বাচ্চাদের ঘাম মুখে যাচ্ছে এবং অপরিষ্কার আঙুল মুখে ঢোকানোর ফলে পেট ব্যথা ও ডায়রিয়া রোগ হচ্ছে। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও হাত ধোয়ার মাধ্যমে সংক্রামক এ ব্যধি থেকে দূরে থাকা যায়।
* খাবার আগে এবং টয়লেট থেকে বের হয়ে সাবান-পানি দিয়ে অবশ্যই হাত ধুতে হবে। এক জরিপে দেখা গেছে শুধু হাত ধুয়েই প্রায় ৩২ শতাংশ পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
* খাবার তৈরি ও পরিবেশনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরও হাত ও শরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
* ফ্রিজে খাবার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে সংরক্ষণ করা যায় এবং আবার খাওয়ার আগে গরম করে খেতে হবে।
* পাতলা পাখানা ও বমি হলে প্রথমেই ওরস্যালাইন খেতে হবে তারপর চিকিৎসকের পরামর্শে এন্টিবায়োটিক যেমন- অ্যাজিথ্রোমাইসিন, সিপ্রোফ্লকাসিন খাওয়া যেতে পারে। তবে মেট্রোনিডাজলের তেমন প্রয়োজন হয় না।
* রাস্তার পাশের খাবার অতিদ্রুত নষ্ট হয়ে যায় তাই এ খাবার ও পানি খাওয়ার আগে রং, গন্ধ দেখে নিন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন