বিএনপির নতুন কমিটির সহ-মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সৈয়দা আশিফা আশরাফি পাপিয়ার পদত্যাগের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

কয়েকটি গণমাধ্যমে তার পদত্যাগের খবর প্রচার হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে পাপিয়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমন সংবাদ প্রকাশের পর দলটির দফতরের নেতাদেরও ফোন রিসিভ করছেন না পাপিয়া।

বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে গৃহীত নীতি অনুযায়ী এক নেতার এক পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশনা দেয়া হলেও দুটো পদ থেকেই পদত্যাগ করেন পাপিয়া।

এর আগে বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণার পর ‘সার্কাস পার্টি’ উল্লেখ করে ফেসবুকে পাপিয়া স্ট্যাটাস দেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটি প্রকাশিত হলে ১১ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে স্ট্যাটাসের বিষয়টি বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে তিনি বলেন, তার কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। তবে পাপিয়ার সার্কাস পার্টি সংক্রান্ত স্ট্যাটাস এবং সংবাদ সম্মেলন করে তার প্রতিবাদ দুটোই পাপিয়ার রাজনৈতিক স্টাইল বলে গুঞ্জন রয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান জাগো নিউজকে বলেন, পাপিয়াকে অনেকবার কল করেছি কিন্তু আমার কলও রিসিভ করছে না। কিছুই বুঝতে পারছি না। তবে পদত্যাগের সংবাদ শুনেছি।

বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রে যারা পদ পাবেন তাদের তো জেলার পদ ছাড়তেই হবে। পাপিয়া তো দুটো পদ থেকেই পদত্যাগ করেছেন এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে টিপু বলেন, আমাদের দফতরে এখনো এমন কোনো পদত্যাগপত্র আসেনি। তাহলে আমার জানা নেই।

প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদ, রাজপথ, রাজনৈতিক মঞ্চ ও আইন পেশায় সবর্ত্রই পাপিয়ার পরিচিতি রয়েছে। প্রশ্ন উঠছে পাপিয়া কি তাহলে রাজনীতি ছেড়ে অভিনয়ে মনোনিবেশ করবেন? নাকি চেয়ারপারসনের ডাকে অভিমান ভেঙে বিএনপিতে আবার আওয়াজ তুলবেন?