পাষন্ড প্রেমিক ওবায়দুল চলন্ত হোন্ডা থেকে ফেলে দেয় তরুণী সনিয়াকে!
প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে এখন কলাপাড়া হাসপাতালের শয্যায় ক্ষত-বিক্ষত মুখমন্ডল, হাত-পা নিয়ে শঙ্কাজনক অবস্থায় কাতরাচ্ছে তরুনী সানিয়া। অর্ধচেতন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত দেড় টায় ভাড়াটে হোন্ডাচালক বেলাল কলাপাড়া হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। কুয়াকাটা পৌর এলাকায় মহাসড়কে কুয়াকাটা ফিলিং স্টেশনের সামনে মহাসড়কে তাকে ওই অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারনা করা হচ্ছে, চলন্ত হোন্ডা থেকে ফেলে দেয় পাষন্ড প্রেমিক ওবায়দুল ও তার এক সহযোগী।
শুক্রবার দুপুরে গিয়ে দেখা গেছে, সনিয়ার সর্বাঙ্গে আঘাতের গুরুতর চিহ্ন। উপরের চোয়ালের দুটি দাঁত ভেঙ্গে গেছে। চোখের উপর কপালসহ ডানপাশ কেটে গেছে। হাত-পায়ের চামড়া ক্ষত হয়ে গেছে অসংখ্য স্থানে। এখনও এ অসহায় কিশোরীরর ক্ষত থেকে তাজা রক্ত ঝরছে। চামড়া ওঠা ক্ষতগুলো ঘায়ের মতো চকচক করছে।
এখন কী করবে সনিয়া!! শরীরে ক্ষতের চেয়ে মনের ক্ষত নিয়ে বেশি শঙ্কায় সে। প্রয়োজন এ তরুনীর জরুরি ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসার। এমন পরিনতির আগে সনিয়ার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়। হাতের পার্টস ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। কুয়কাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ সেন্টার থেকে আধা কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মহিপুর থানা থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দুরে এমন নির্মম ঘটনা। তাও মহাসড়কের উপরে।
একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে, সনিয়ার অর্ধচেতন ক্ষত দেহ মহাসড়কে লুটিয়ে পড়েছিল। তখন পুলিশকে অবহিত করলে হোন্ডাচালকরা অটোযোগে সনিয়াকে মহিপুরে নিয়ে আসে। সেখানে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ভাড়াটে হোন্ডায় তুলে দেয় পুলিশের এসআই আতিকুর রহমান। কিন্তু অভিভাবকহীন শঙ্কটাপন্ন এ তরুনীকে পুলিশের গাড়িতে করে কেন ১৫ মিনিটের পথ কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসল না। তারাই বা কেন এক তরুনীকে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রেন্টএর হোন্ডায় এ অবস্থায় তুলে দিল? এনিয়ে এখন নানা প্রশ্নের উদ্রেক হচ্ছে জনমনে।
এসআই আতিক জানান, আমরা কে এই ওবায়দুল তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
সনিয়ার দাবি কুয়াকাটার আনোয়ার কাজীর ছেলে ওবায়দুল। আর সনিয়ার বাড়ি বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার চার নম্বর ওয়ার্ডে। গ্রামীণ ব্যাংকের পাশে। বাবা খলিল হাওলাদার কাঠের ব্যবসা করেন। দুই বছর আগে মোবাইলে পরিচয় থেকে প্রেম। সেই সুত্রে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বাসে এক ফুফাতো ভাই বাবুলের সঙ্গে কুয়াকাটায় আসে। খুজে বের করে প্রেমিক ওবায়দুলকে। তখন রাত কেবল নেমেছে। বাবুলের কাছে উল্টো টাকা দাবি করে ওবায়দুল। এরপর বাবুল লাপাত্তা। রাতে হোটেলে রাখার কথা বলে সনিয়াকে হোন্ডায় তোলা হয়। বিভিন্ন স্পটে ঘোরানো হয়। রাত বাড়তে থাকে। এক সময় তার মোবাইল ফোন ও পার্টস ছিনিয়ে নেয় ওবায়দুল। এরপর আর কিছু মনে করতে পারছে না সনিয়া।
সনিয়া জানায়, যখন তার জ্ঞান ফিরেছে তখন কলাপাড়া হাসপাতালের শয্যায় ক্ষত-বিক্ষত শরীরে। শুধু এইটুকু মনে আছে হোন্ডা থেকে তাকে ফেলে দেয়া হয়েছে। তারপরও হোন্ডা টেনে ধরেছিল। ওবায়দুলকে আটকানোর চেষ্টা করেছিল। প্রেমের কারনে ওবায়দুলের ভাই পরিচয় দিয়ে একদিন সনিয়াকে গালাগাল করছিল বলে সে জানায়। তবে ওবায়দুলের চাচাতো ভাই জাকির নামের এক যুবক গোটা বিষয়টি অবগত ছিল বলে সনিয়া জানায়। সনিয়ার কাছ থেকে পাওয়া ওবায়দুলের মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
ডাঃ লেনিন সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, সনিয়ার এখন আরও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। তার মুখমন্ডলসহ হাতে-পায়ে অসংখ্য ক্ষত রয়েছে। মহিপুর থানার ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান জানান, ওবায়দুলকে আগে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তারপরে সবকিছু বলা যাবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন