পা ব্যথা দূর করার ৩ টি কার্যকরী কৌশল
খুব সাধারণ একটি শারীরিক সমস্যা হল পা ব্যথা। ছোট বড় সব বয়সীদের পা ব্যথা হয়ে থাকে। কখনও কখনও এই ব্যথা ব্যাপক আকারে রূপ নিয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে পা ব্যথা করতে পারে। বৃদ্ধ বয়স, শিরায় টান পড়া, আরামদায়ক জুতো না পরা, অনেক বেশি হাঁটা, দু’পায়ের ওপর ভর করে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা, বিভিন্ন ধরণের ফ্রাকচার , দেহে খনিজের অভাব, পুষ্টির অভাব ইত্যাদি নানা কারণে পা ব্যথা হয়ে থাকে। পা ব্যথা হলে সব সময় ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়া উচিত নয়। ব্যথানাশক ঔষধ শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর। ঘরোয়া কিছু উপায়ে এই পা ব্যথা দূর করা সম্ভব।
১। ম্যাসাজ
অলিভ অয়েল, নারকেল তেল বা সরিষা তেল হালকা গরম করে নিয়ে হালকা ভাবে ব্যথার স্থানে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এটি দিনে ২-৩ বার করুন। ২০১২ সালের Science Translational Medicine journal এর মতে ১০ মিনিটের এই ম্যাসাজ পেশির প্রদাহ রোধ করে পা ব্যথা কমিয়ে দেবে।
২। হলুদ
১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং তিলের তেল গরম করে নিন। এবার এটি ব্যথার স্থানে ভাল করে ম্যাসাজ করে নিন। ৩০ মিনিট পর কসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে দুই বার করুন।এছাড়া এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করতে পারেন। এটিও আপনার পা ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।
হলুদের অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান পায়ের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। আপনি যদি রক্ত বৃদ্ধির কোন ঔষধ গ্রহণ করে থাকেন, তবে হলুদ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।
৩। আদা
ব্যথার স্থানে দিনে ২-৩ বার আদার তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। এর সাথে দিনে ২-৩ বার আদা চা পান করুন। আদার উপাদান ব্যথা দূর করে পেশীর প্রদাহ দূর করে দিবে। এটি পেশির রক্ত চলাচল সচল করে দেয়।
টিপস:
- ব্যথার স্থানে ঠান্ডা বা গরম পানির সেঁক দিতে পারেন, এটি ব্যথার স্থানে আরাম দিবে।
- রাতে পায়ে মোজা পরে ঘুমাতে যান। অনেক সময় পা ঠাণ্ডা হয়ে পা ব্যথা করতে পারে। মোজা আপনার পাকে গরম রাখবে।
- প্রতিদিন ২-৩ কাপ গ্রিন টি পান করুন।
- উচ্চ রক্তচাপ এবং ক্লোস্টোরেল নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন
জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন