পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার মাঝরাতে বাড়ি ফেরার পরে অমিত দেখেন রহিম তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে জোরজবরদস্তি করছেন।

স্ত্রীকে যৌন নির্যাতনের জেরে বাবার বিরুদ্ধেই বন্দুক ওঠাল ছেলে। ঘটনাস্থল কানপুরের ফরুকবাদ জেলা। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, ৫০ বছরের রতিরাম মাঝে মধ্যেই যৌন অত্যাচার করতেন তাঁর পুত্রবধূকে। রবিবার রাতে একাধিকবার শ্বশুরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনে পুত্রবধূ। রাগ সামলাতে না পেরে বন্দুক হাতে তুলে নেন রতিরামপুত্র অমিত(২৮) এবং সরাসরি গুলি করেন বাবাকে।

গুলি করার পরে রতিরামকে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় কোরামগঞ্জ কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে, এবং পরে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।

পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার মাঝরাতে বাড়ি ফেরার পরে অমিত দেখেন, রহিম তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে জোরজবরদস্তি করছেন। রাগের মাথায় প্রথমে বাবাকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দিন তিনি, তারপর হাতের কাছে থাকা বন্দুক টেনে নিয়ে গুলি চালান। এরপর অমিত অস্ত্রসহ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

অমিতের ছোট ভাই অনুজ দাদার বিরুদ্ধে বাবাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন সমশাবাদ থানায়। পুলিশ জানিয়েছে, ‘আমরা অমিতের অস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করেছি। কারণ সেটির কোনও বৈধ লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। তাঁকেও আপাতত জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে। বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’