সোমবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

পুরস্কার পাচ্ছেন মির্জা ফখরুল

রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ‘পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ’ এবং দলের মধ্যে ‘বিশ্বস্ত এবং নিবেদিতপ্রাণ’ নেতা হিসেবে পরিচিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের তকমা মুছে দলের পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব হচ্ছেন। প্রায় পাঁচ বছর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালনকারী এই নেতা এবার তার যোগ্যতার পরীক্ষার পুরস্কার পাচ্ছেন। এমনটিই জানাচ্ছে দলের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র।

বিএনপির পঞ্চম কাউন্সিলের পর দলের মহাসচিবের দায়িত্বে ছিলেন প্রয়াত নেতা খন্দকার দেলোয়ার হোসেন। ২০১১ সালের ১৬ মার্চ তিনি মারা যান। এরপর দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করা হয়। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত তাকে ভারমুক্ত করা হয়নি।

বেশ কয়েকবার ষষ্ঠ কাউন্সিলের উদ্যোগ নিলেও নানা কারণে বিএনপির সেই কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে আসে। তবে এবার আগামী মার্চেই কাউন্সিল করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। গত ২৩ জানুয়ারি শনিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নীতিগতভাবে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এখনো তারিখ নির্দিষ্ট না হলেও মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। যদিও বিষয়টি নির্ভর করছে ভেন্যু পাওয়া নিয়ে।

এর আগে ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের জন্য ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রধান করে সমন্বয় কমিটি গঠন ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা ও যুগ্ম মহাসচিব পর্যায়ের নেতাদের প্রধান করে ১২টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ড্রাফটিং সাব-কমিটির একটি বৈঠকও হয়। তারপর থেমে যায় সে প্রক্রিয়া। বিগত দুই বছর ধরে কয়েকবার কাউন্সিলের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় বিএনপি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব নেওয়ার পর এ পর্যন্ত সাতবার জেল খেটেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে রয়েছে ৮৪ মামলা। ৩৫টি মামলায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিটও গ্রহণ করা হয়েছে। কারাগারে যাওয়া-আসার মধ্যে থাকা এই নেতা রোগাক্রান্তও। চিকিৎসার জন্য প্রায়ই তাকে দেশের বাইরে যেতে হয়। এরপরও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

দলের দায়িত্বশীল দুজন নেতা জানান, মির্জা ফখরুল ইসলামের মহাসচিব পদ পাওয়া অনেকটাই অনুমিত। কারণ সংকটের সময়ে তিনি দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। তা ছাড়া প্রতিকূল পরিবেশেও তিনি আপস করেননি। তা ছাড়া দলের ব্যাপারে তিনি বেশ নিবেদিতপ্রাণ এবং হাইকমান্ডের প্রতি আনুগত। সে জন্য তিনি মহাসচিব হচ্ছেন তা একপ্রকার নিশ্চিত বলা যায়।

সূত্র জানায়, মহাসচিব পদ পাওয়ার দৌড়ে ফখরুল ইসলামের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বেশ কয়েকজন নেতা। তবে শেষ পর্যন্ত সবাই ছিটকে পড়েছেন। দলের আপৎকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পুরস্কার হিসেবে তাকে মহাসচিব করা হচ্ছে। লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও এ বিষয়ে গ্রিন সিগন্যাল রয়েছে।

দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে মির্জা আলমগীর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটির বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করেন এবং প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সফল হন। ঢাকা ও চট্টগ্রামের নেতাদের বিরোধ যাতে প্রকাশ্যে না আসে, সেই উদ্যোগ নিয়েও সফল হয়েছেন। জোটের সমন্বয়কের দায়িত্বও বেশ ভালোভাবে পালন করেছেন তিনি। দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনার পাশাপাশি সরকারবিরোধী আন্দোলন কর্মসূচি সংঘাতপূর্ণ না করে শান্তিপূর্ণ করার চেষ্টা চালিয়ে দলের বাইরেও প্রশংসিত হন। দলের নেতা-কর্মীদের বাইরেও দেশি-বিদেশি কূটনীতিক, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছেও মির্জা ফখরুলের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। সামগ্রিক বিবেচনায় দলের ভেতরে-বাইরের দক্ষতার বিচারে মহাসচিব পদের জন্য মির্জা ফখরুলই এগিয়ে।

জানতে চাইলে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব দিয়ে চলছে। দল যাকে মহাসচিব হিসেবে চাইবে তিনিই এই দায়িত্বে আসবেন। তবে পাঁচ বছর ধরে তিনি (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) হাল ধরে আছেন। সুতরাং তিনি মহাসচিব পদ পেতে পারেন, সেটাও তো একপ্রকার স্বাভাবিক।’

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর প্রথম কাউন্সিল হয়। দ্বিতীয় কাউন্সিল হয় ১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এরপর ১৯৮৯ সালের ৮ ও ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় দলটির তৃতীয় কাউন্সিল। ১৯৯৩ সালের ১, ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপি চতুর্থ কাউন্সিল করে। সর্বশেষ ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর হয় পঞ্চম কাউন্সিল।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক

অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন

হাসিনার পতনে জাতির মনোজগত পরিবর্তন হয়েছে, নতুন রাজনীতি হতে হবে স্বচ্ছ: আমীর খসরু

দেশের মানুষের মনোবাসনা বুঝে স্বচ্ছ রাজনীতির আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ীবিস্তারিত পড়ুন

বগুড়ায় হাসিনা-কাদেরের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা

বগুড়ায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৭ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে বগুড়া সদর থানায় গাবতলীর নিহত বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমানের স্ত্রী খাদিজা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে গিয়ে সংঘর্ষের সময় শহরের ঝাউতলা এলাকায় নিহত হনবিস্তারিত পড়ুন

  • ১৭ বছর পর সচল হলো আবদুল আউয়াল মিন্টুর ব্যাংক হিসাব
  • বিএনপি ও সমমনা দলের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • বিকেলে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
  • খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে : এ্যানী
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • বিএনপির আন্দোলন ভুয়া, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আতঙ্কিত: ওবায়দুল কাদের
  • খালেদা জিয়ার ৩ রোগ বড় সংকট : চিকিৎসকরা
  • মুক্তিযুদ্ধের নামে বিএনপি ভাওতাবাজি করে : ওবায়দুল কাদের
  • দেশের মানুষ ঈদ করতে পারেননি
  • বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে রদবদল
  • বিএনপির টপ টু বটম দুর্নীতিতে জড়িত: কাদের
  • চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস