পুরুষের শরীরে জরায়ু, ডিম্বাশয়!
পেটব্যাথাসহ বেশ কিছু উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সেই পুরুষ। যথারীতি রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হলো এক বেসরকারী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।কিন্তু রোগী পুরুষ হওয়া সত্তেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হল জরায়ু, ডিম্বাশয়ের! সেই রিপোর্ট দেখে তাজ্জব হাসপাতালের চিকিৎসক। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দুর্গাপুরে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বর্ধমানের সিএমওএইচ এর পক্ষ থেকে ক্লিনিকটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে তদন্ত।
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে মঙ্গলবার সকালে তলপেটের পরীক্ষার ওই রিপোর্ট দেখে ডাক্তার জানিয়ে দেন, আবার পরীক্ষা করাতে হবে। কিন্তু তার খানিকক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় অরুণ খাঁ (৫৫) নামে ওই রোগীর। হাসপাতালের তরফে অবশ্য মৃত্যুর কারণ হিসেবে মস্তিষ্ক কাজ না করার কথা (এনসেফ্যালোপ্যাথি) জানানো হয়েছে। তবে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্টটি নিয়ে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন বর্ধমানের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথীও বলেন, ‘‘এই ধরনের ভুল কোনও ভাবে কাম্য নয়। আমরা রিপোর্ট চেয়ে পাঠাব।’’
দুর্গাপুরের ইস্পাতনগরীর বি-জোনের বিদ্যাপতি রোডের বাসিন্দা অরুণ খাঁ একটি বেসরকারি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ছিলেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১৪ জুন পেটে ব্যথা-সহ কিছু উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হন। হাসপাতালে বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা চলছিল। সোমবার রোগীর ‘এনসিসিটি স্ক্যান অফ হোল অ্যাবডোমেন’ করানোর নির্দেশ দেন। হাসপাতালে এই পরীক্ষা হয় না। তাই পরিজনেরা হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ সিটি সেন্টারের অম্বুজা এলাকার ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান রোগীকে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে রোগীর পরিজনেরা রিপোর্ট নিয়ে এলে চিকিৎসক দেখেন, সেটির দ্বিতীয় পাতায় জরায়ু, ডিম্বাশয়ের উল্লেখ রয়েছে। তখনই তিনি জানিয়ে দেন, এই রিপোর্ট দিয়ে চিকিৎসা সম্ভব নয়। নতুন করে পরীক্ষা করাতে হবে। এ নিয়ে টানাপড়েন চলার মাঝেই এ দিন সকাল ১১টার দিকে সেই রোগী মারা যান।
রোগীর মৃত্যুর পরেই বাড়ির লোকজন ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু করেন। হাসপাতালের সুপার দেবব্রত দাস বিষয়টি জানার পরে সিএমওএইচ-এর কাছে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন তাঁদের। বিকেলে সেই অভিযোগ করা হয়। ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্ণধার অলোক মিত্র দাবি করেন, ‘‘ছাপার ভুলে (ক্লারিক্যাল মিস্টেক) এমন হয়েছে।’’ এর সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের কৈফিয়ৎ তলব করা হয়েছে বলে জানান তিনি। অরুণবাবুর স্ত্রী ছবিদেবী বলেন, ‘‘এত বড় ভুল কী ভাবে হতে পারে? দোষীদের শাস্তি চাই।’’ প্রতিবেশী অমিত রায় বলেন, ‘‘এত দায়সারা মনোভাব নিয়ে ক্লিনিক চলছে কী করে? অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।’’ জেলাশাসক জানান, তদন্তের রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র : আনন্দবাজার
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন