পুলিশের কনস্টবল হয়েও তার খুঁটির জোর কোথায়?
ঢাকা জেলায় ৫৯২ জন পুরুষ ১০৪ জন নারী পুলিশ কনস্টবল পদে নিয়োগের কথা রয়েছে আগামী (২৪ সেপ্টম্বর) শনিবার। এর মধ্যে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান পিপিএম ঘোষণা দেন যে প্রতিটি কনস্টবল পদে নিয়োগ হবে টাকা ছাড়া যোগ্য ব্যাক্তির। এছাড়াও হতে হবে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান।
কিন্তু পুলিশ সুপারের এমন মহান উদ্দেশ্যকে নষ্ট করার জন্য একটি দালাল চক্র পায়তারা করছে। এঘটনায় দালাল চক্রের সদস্য আনোয়ার হোসেনকে (২৫) আটক করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। তবে দালাল চক্রের মূলহোতা সুমন ও ইমদাদুলকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে খুব শিগরই দালাল চক্রের মূলহোতা আটক হবে বলে দাবি ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ রিজাউল হকের।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলা দক্ষিন হাতকুড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে রশিদ মিয়ার ছেলে আনোয়ারকে আটক করে পুলিশ। একই সময় দালাল চক্রের প্রধানহোতা সানোড়া গ্রামে পুলিশ কনস্টবল সুমনের বাড়ীতে অভিযান চালায় পুলিশ। গতকাল বুধবার পর্যন্ত আটককৃত দালালকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানান এস আই ভজন রায়।
ধামরাই উপজেলার প্রায় দেড় শতাধিক নারী ও পুরুষ পুলিশ কনস্টবল প্রার্থীর কাছ থেকে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে দালাল পুলিশ কনস্টবল সুমন ও ইমদাদুল। শুধু তাই নয় জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে প্রতি বছর চাকরি দেন ওই দুই পুলিশ কনস্টবল এমন অভিযোগ রয়েছে।
এবছর জামায়াত-বিএনপি বেশ কিছু নেতাকর্মীদের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে সুমন ও ইমদাদুলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টবল ইমদাদুলের শ্যালক দালাল চক্রের অন্যতম সদস্য আনোয়ার হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
রাজবাড়ী জেলার সদর থানার আতর আলী মন্ডলের ছেলে ইমদাদুল হক ওরফে এনায়েত পুলিশে কনস্টবল পদে কর্মরত আছে। তিনি প্রতিবছর ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা করে নিয়ে কনস্টবল পদে চাকুরি দেন। এবছর তিনি ধামরাই উপজেলা দক্ষিণ হাতকুড়া গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে মাহাবুব, দুলাল মিয়ার ছেলে শামীম,আব্বাস আলীর ছেলে শাহিনুর, একই গ্রামের মামুনসহ ৬৪ জন পুলিশ কনস্টবল প্রার্থীর কাছ থেকে ৫ থেকে ৬ লাখ হাতিয়ে নিয়েছে। এমদাদুল ধামরাই গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ হাতকুড়া গ্রামের আব্দুল রশিদের মেয়ের জামাতা।
অপর দিকে দালাল চক্রের প্রধানহোতা সানোড়া ইউনিয়নের সানোড়া গ্রামের রিয়াজুল ইসলামের ছেলে ঢাকায় কর্মরত পুলিশ কনস্টবল সুমন ইসলামও প্রতিবছর একই কায়দায় পুলিশ কনস্টবল পদে চাকরি দেন। এবছর তিনি এলাকার ৭৫ জন পুলিশ কনস্টবল প্রার্থীর কাছ থেকে সাড়ে ৫ সাড়ে ৬ লাখ করে টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ধামরাই থানার পুলিশ দালাল চক্রের প্রধানহোতা সুমন গ্রামের বাড়ী সানোড়াতে অভিযান চালায় গত মঙ্গলবার রাতে। কিন্তু এসময় সুমনের বড় ভাই নাজিম উদ্দিনসহ বাড়ীর সবাই পালিয়ে যায়।
জানা যায়, সুমনের পুলিশ কনস্টবল চাকরি দেওয়ার টাকা লেনদেন হয় তার বড় ভাই নাজিম উদ্দিনের মাধ্যমে। সুমন পুলিশে চাকরি বানিজ্য করে জিরো থেকে হিরো হয়েছে। বর্তমানে তিনি কয়েক কোটি টাকার মালিক। এছাড়াও গ্রামে বিশ বিঘা জমি কালামপুর এলাকায় বাড়ীর তৈরি করার দুটি জমি ক্রয় করেছেন। বাড়ীতে তিনি বিশাল ব্যায় বহুল একটি অর্টালিকা তৈরি করতেছেন। গত বছর দালার চক্রের প্রধানহোতা সুমন এলাকার ৫০ জন পুলিশ কনস্টবল প্রার্থীকে চাকরি দিয়েছেন। এক কনস্টবল হয়েও তার খুটির জোর কোথায়। গত বছর বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সুমনের দালালি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পরও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করে।
এব্যাপারে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ রিজাউল হক বলেন, দালাল চক্রের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরাও খুব তারাতারি গ্রেফতার হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টি
ঢাকায় অফিস শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে নামা ঝুম বৃষ্টিতে নগরবাসীবিস্তারিত পড়ুন
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত্যা
রাজধানীর বনানী ও ভাটারায় পৃথক ঘটনায় দুই নারীর ঝুলন্ত মরদেহবিস্তারিত পড়ুন
সবুজবাগে পরিবেশমন্ত্রীর সেলাই মেশিন বিতরণ
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন,বিস্তারিত পড়ুন