সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

পুলিশের কানে আঘাত, ভাইস চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ২

শরীয়তপুরে চড় মেরে পুলিশ সদস্যের কানের পর্দা ফাটানোর ঘটনায় সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার সংসদ ভবন এলাকার ন্যাম ভবন সড়ক থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে শরীয়তপুরের পালং থানার পুলিশ।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান।

গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন হাওলাদার ও পালং তুলাসার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শেখ খলিলুর রহমান জাগরণ।

পালং থানার পুলিশ জানায়, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন হাওলাদার তাঁর ভাগ্নে শরীয়তপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি (বর্তমানে বহিষ্কৃত) আক্তার হোসেনকে নিয়ে গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক দেবাশীষ সাহার কক্ষে যান। তাঁরা চিকিৎসকের কাছে হোসেন খন্দকার নামের এক রোগীর আঘাতের চিকিৎসাজনিত সনদপত্র দাবি করেন। রোগী ছাড়া সনদপত্র দিতে অপরগতা প্রকাশ করেন চিকিৎসা কর্মকর্তা। তখন আক্তার ওই চিকিৎসা কর্মকর্তাকে গালাগাল দিয়ে অপদস্ত করতে থাকেন। সেখানে তখন চিকিৎসা নিতে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের নায়েক সেলিম মাতুব্বর। চিকিৎককে কেন এভাবে অপদস্ত করা হচ্ছে তা জানতে চান তিনি এবং গালাগাল করতে বারণ করেন। তখন আক্তার উত্তেজিত হয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে মারধর করতে থাকেন। তাঁর থাপ্পরে পুলিশ সদস্যের ডান কানের পর্দা ফেটে যায়। হাসপাতালের কর্মীরা তাঁকে জরুরি বিভাগে নিয়ে চিকিৎসা দেন। পরে তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ ঘটনায় শরীয়তপুর সদর থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে। দুটি মামলায় আক্তার হোসেন ছাড়াও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন হাওলাদার ও পালং তুলাসার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জাগরণ শেখকে আসামি করা হয়েছে।

একটি মামলার বাদী হয়েছেন সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম। আরেকটি মামলার বাদী হয়েছেন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুমন কুমার পোদ্দার।

এই ঘটনায় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আক্তার হোসেনকে বুধবার সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

ঘটনার দুই দিন পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পালং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁরা জানতে পারেন আসামিরা ঢাকার শেরে বাংলানগর এলাকায় অবস্থান করছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার শেরে বাংলানগর থানা পুলিশের সহযোগিতায় পালং মডেল থানার এসআই নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সংসদ ভবনের পাশে ন্যাম ভবনের সামনের সড়ক থেকে ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন হাওলাদার ও শেখ খলিলুর রহমান জাগরণকে গ্রেপ্তার করে শেরে বাংলানগর থানায় নেয়।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান বলেন, দুটি মামলার আসামি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন হাওলাদার ও শেখ খলিলুর রহমান জাগরণকে ঢাকার শেরে বাংলানগর থানা পুলিশের সহায়তায় ন্যাম ভবনের সামনের সড়ক থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাঁদের শরীয়তপুরে নিয়ে এসে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন

  • কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
  • সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
  • চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
  • সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টি
  • রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত্যা
  • ছুটি শেষে কর্মচঞ্চল আখাউড়া স্থলবন্দর
  • নোয়াখালীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ
  • নান্দাইলে চাচাতো ভাইয়ের হাতে চাচাতো ভাই খুন
  • সিলেট বিভাগের বন্যা ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে
  • সবুজবাগে পরিবেশমন্ত্রীর সেলাই মেশিন বিতরণ