পুলিশের লাঠিচার্জে এক নার্সের ‘গর্ভপাত’ , তিনি ৩ মাসের গর্ভবতী ছিলেন..!

ব্যাচভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাওকালে পুলিশের লাঠিচার্জে সালমা আক্তার (২৭) নামে আন্দোলনরত এক নার্সের গর্ভপাত হয়েছে। তিনি ৩ মাসের গর্ভবতী ছিলেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (০১ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে আন্দোলনরত নার্সদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করলে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সালমা আক্তার বর্তমানে ধানমণ্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বেকার নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিনা আক্তার।
তিনি জানান, বিকেলে তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাসভবন অভিমুখে পদযাত্রা করেন। এ সময় ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে পুলিশের প্রথম ব্যারিকেডের মুখোমুখি হতে হয়। পরে ওই ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশ নার্সদের ওপর লাঠি চার্জ করে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হন। আহতদেরই একজন গর্ভপাতের শিকার নার্স সালমা আক্তার।
সংগঠনের সভাপতি বলেন, ‘আমরা জান নিয়া পালাইছি। পুলিশ মেয়েদের ওপর বুট দিয়া লাথি মারছিল। এ সময় সালমা নামে আমাদের এক আন্দোলনকারীর গর্ভপাত হয়। এখনো তার ব্লিডিং থামছে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘পুলিশ প্রথমে আমাদের ওপর লাঠি চার্জ করছে। তারপর গরম পানি ছিটায়, সাথে মরিচের গুড়াও। আমরা সবাই জান নিয়া পালাই। আমাদের অন্তত অর্ধশত আন্দোলনকারী আহত হইছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে যাচ্ছি।’
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ক্যাজুয়েলিটি আবাসিক সার্জন ফাবিয়া ইমদাদ বলেন, ‘সালমাসহ আরো ৪ জন গুরুত্বর আহত হয়ে এখানে এসেছিলেন। এদের মধ্যে সামলা গর্ভবতী ছিলেন। বাকিরা পুলিশের লাঠি পেটায় আঘাতপ্রাপ্ত।’
সালমার গর্ভপাত হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রক্তক্ষরণ হয়েছে এটা ঠিক। তবে গর্ভপাত হয়নি। তাকে চিকিৎসা দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।’
সোহরাওয়ারর্দী হাসপাতাল সূত্রেই জানা যায়, মিডিয়াকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য সালমাকে ধানমণ্ডি ১৫ নম্বরের ইবনে সিনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি এখন ওখানেই চিকিৎসাধীন।
পরে ইবনে সিনা হাসপাতালে গেলে সালমা বলেন, ‘আমাকে পেটে লাথি মারা হয়েছে। আমার ভ্যাজাইনাল ব্লিডিং হয়েছে। আমার প্রিয়োড ইরেগুলার হতো। প্রেগনেন্ট কিনা নিশ্চিত না।’ স্ত্রী আহত হওয়ার খবর পেয়েই ধানমণ্ডির ইবনে সিনা হাসপাতলে এসে উপস্থিত হয়েছেন সালমার স্বামী সাঈদ।
এদিকে লাঠিচার্জের বিষয়টি স্বীকার করে ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করতে এসে আন্দোলনরত নার্সরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পরে হাল্কা লাঠিচার্জ করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কারো ওপর গর্ভপাত হওয়ার মতো কোনো লাঠিচার্জ করা হয়নি।’
উল্লেখ্য, ব্যাচভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেয়া আশ্বাসের কোনো বাস্তব প্রতিফলন দেখতে না পেয়ে তার বাসভবন ঘেরাওয়ে যায় বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বেকার নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন ও বেসিক গ্র্যাজুয়েট নার্সেস সোসাইটি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন