লিবিয়ার একটি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বোমা হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে পশ্চিমাঞ্চলীয় জিতান নগরীতে একটি ট্রাকবোমা হামলা চালালে এ ঘটনা ঘটে। বোমা হামলায় আহতের সংখ্যা বহু বলে জানিয়েছে বিবিসি। এখন পর্যন্ত এই হামলার দায়িত্বের কথা স্বীকার করেনি কেউ।

স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে রয়টার্স জানায়, জিতানের আল-জাহফল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ট্রাক বিস্ফোরণের সময় একশোর বেশি পুলিশ সদস্য ক্যাম্পের বাইরে অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় হঠাৎ ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

লিবিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম নাভা টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, বোমা হামলার পর জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। হামলায় নিহত ছাড়াও আহত হয়েছেন অনেক মানুষ। আহতদের ত্রিপলি ও মিসরাতার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে বোমা হামলার পর লিবিয়ায় জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি মার্টিন কবলার এর নিন্দা জানিয়ে একটি টুইট করেন। টুইটে তিনি বলেন, ‘আমি এই আত্মঘাতী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একজোট হতে লিবিয়াবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, জিতানের আল-জাহফল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি লিবিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির আমলে সেনা ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

গাদ্দাফির পতনের পর ২০১১ সাল থেকে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। এরপর থেকে দেশটি চলছে দুটি সরকারের শাসনে। গত ডিসেম্বর মাসে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় দুই সরকারের মধ্যে ‘ঐক্য সরকার’ গঠনের বিষয়ে সমঝোতা হয়। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

আর এই রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শক্ত ঘাঁটি হয়ে উঠেছে দেশটি। ফলে নিয়মিত হামলা লেগেই আছে দেশটিতে।