পুষ্টি চাহিদা পূরণের আহ্বান জানালেন অর্থমন্ত্রী
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর খামারবাড়ির আ কা মু গিয়াসউদ্দিন মিলকী অডিটোরিয়ামে ‘ফল গাছ রোপণ পক্ষ-২০১৭’ও তিন দিনের জাতীয় ফল প্রদর্শনী উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে জনগণের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা দরকার। পুষ্টি চাহিদা পূরণে প্রচলিত ও অপ্রচলিত ফল যাতে বছরের আট মাস ৪০ ভাগের স্থলে ৮০ ভাগ পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয় এ সেমিনারের আয়োজন করে।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, মিলিনিয়াম ডেপলপমেন্ট গোল (এমডিজি) অর্জনের পর আমাদের লক্ষ্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন (এসডিজি)। আর এই টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জনগণের পুষ্টির চাহিদা পূরণের দিকে নজর দেওয়া দরকার। ভবিষ্যতের জন্য এ কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়ে নিতে হবে। পুষ্টি চাহিদা পূরণে বিজ্ঞানীদের চেষ্টায় এখন প্রচলিত ও অপ্রচলিত ফলের ৪০ ভাগ বছরের আট মাস পাওয়া যায়। আমাদের লক্ষ্য ওই ৪০ ভাগকে ৮০ ভাগে উত্তীর্ণ করা।
তিনি আরো বলেছেন, বর্তমানে দেশে খাদ্য ঘাটতি নেই। সেজন্য আমাদের দেশবাসীকে ধন্যবাদ। এ দেশের কৃষকের শ্রম ও আধুনিক প্রযুক্তির উত্তম চর্চার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে। আমাদের দেশে খাদ্যের অভাব চলে যাওয়ার পরে আমাদের দৃষ্টি এখন স্বাস্থ্য ও পুষ্টির দিকে। স্বাস্থ্য কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য পুষ্টির দিকে বেশি নজর দিতে হবে। কারণ, এখনো দেশের মানুষের মধ্যে পুষ্টির বেশ অভাব রয়েছে। এ অভাবে নতুন প্রজন্মকে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। এজন্য এদিকে ব্যাপকভাবে নজর দেওয়া দরকার।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ব্যবিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এম মোফাজ্জল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন কৃষি সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, মধ্যম আয়ের দেশে পা দিচ্ছি বলেই জনগণের পুষ্টি চাহিদ পূরণ করা দরকার। বর্তমানে আমাদের দেশে একজন মানুষ মাত্র ৭৬ গ্রাম ফল খাওয়ার সুযোগ পায়। অথচ দরকার ১১৫ গ্রাম। অর্থমন্ত্রীর সাহায্য পেলে দৈনিক ফল চাহিদা ১১৫ গ্রাম পূরণ করা কঠিন কিছু নয়।
‘স্বাস্থ্য পুষ্টি অর্থ চাই, দেশি ফলের গাছ লাগাই। ’-এই প্রতিপাদ্যে আ কা মু গিয়াসউদ্দীন মিল্কী অডিটরিয়াম চত্বরেই শুরু হয় তিন দিনের জাতীয় ফল প্রদর্শনী। প্রদর্শনী চলবে ১৮ জুন পর্যন্ত। ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ চলবে ৩০ জুন অবধি। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত উদ্বোধনের পর প্রদর্শনীর স্টলগুলো ঘুরে দেখেন। এ সময় কৃষিমন্ত্রী ও অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এবারের প্রদর্শনীতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৭৫টি স্টল রয়েছে। স্টলগুলোতে ১৩০ প্রজাতির ফলের একাধিক জাত প্রদর্শিত হচ্ছে। এই মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য খোলা থাকবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ভরিতে এবার ১,৯৯৪ টাকা বাড়লো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনবিস্তারিত পড়ুন
সংস্কার হলে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কত কমানো সম্ভব জানালো সিপিডি
মূল্য নির্ধারণ কাঠামোর সংস্কার হলে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ১১বিস্তারিত পড়ুন
রাজশাহীতে সমন্বয়ককে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ
রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় এক সমন্বয়ককে হাতুড়িপেটা করার অভিযোগবিস্তারিত পড়ুন