পৌরসভার ময়লার দূর্গন্ধে পথচারি ও শিক্ষার্থীরা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে
শরীয়তপুর সদর পৌরসভার স্তুপিকৃত ময়লার দূর্গন্ধে পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষার্থীদের অনেকেই বিভন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে বাধ্য হচ্ছে।
জেলার একমাত্র শরীয়তপুর-ঢাকা মহা সড়কটির শরীয়তপুর সরকারি কলেজ ও ৫৭নং ধানুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ডাম্পিক স্টেশনে জমাকৃত ময়লার স্তুপের পাশদিয়ে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ ও ৫৭নং ধানুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত যাতায়াত করে।
দূর্গন্ধের কারনে বিশেষ করে অনেক শিশু ও মেয়ে শিক্ষার্থীর মাথাঘোরা, বমি ও ঝিমঝিম ভাবের সৃষ্টি হয় বলে জানান শিক্ষার্থীরা।শরীয়তপুর সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর মেহেদী হাসান, গোবিন্দ দাস, আব্দুর রহমান বলেন, পৌরসভার স্তুপিকৃত ময়লার দূর্গন্ধে আমার কয়েক বন্ধু বমি করে দিয়েছে। তিন দিন যাবত ওরা কলেজে আসে না। যত দ্রুত সম্ভব ময়লা গুলো সরিয়ে ফেলা উচিত।
পথচারী বেলাল আহম্মেদ, নুরুন নাহার বেগম, সবুজ শেখ বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তাটি দিয়ে আমাদের যাতায়াত । স্তুপিকৃত ময়লার দূর্গন্ধে আমাদের পেট ফুলে যায়। এগুলো যা তা অবস্থা।
৫৭ নং ধানুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনজিৎ কুমার দাস বলেন, আমার বিদ্যালয়ে ৭০০ শিক্ষার্থী রয়েছে । ৫০০ শিক্ষার্থী এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়িত আসা যাওয়া করে। ময়লার দূর্গন্ধে আমার বিদ্যালয়ের অনেক শিশু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আ: আজিজ শিকদার বলেন, ডাম্পিক স্টেশনে জমাকৃত ময়লার স্তুপের পাশেই আমার বাড়ি। ময়লার দূর্গন্ধে বাসায় বাস করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। প্রায়ই আমরা অসুস্থ হয়ে পরি।
শরীয়তপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, আমার কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। ময়লার দূর্গন্ধে অনেকেই স্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রন্ত হচ্ছে। পৌর মেয়রের প্রতি অনুরোধ সম্ভব হলে ময়লার যায়গাটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হোক। অন্যথায় কমপক্ষে সপ্তাহে একদিন অগ্নি সংযোগ করে ভালোভাবে পুড়িয়ে দেয়া হোক।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: নির্মল চন্দ্র দাস বলেন, ময়লার দূর্গন্ধে স্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও এলার্জিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর। তাই এই পরিবেশটিতে পরিবর্তন প্রয়োজন।
শরীয়তপুর পৌসভার মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল বলেন, পূর্ব থেকেই স্থানটিতে ময়লা ফেলা হচ্ছে। আমরা ডাম্পিক এর জন্য একটি জায়গা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। কিন্তু এখানো খুঁজে না পাওয়ায় ওখানেই ফেলছি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
শরীয়তপুরে মায়ের পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় মেয়েকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে নির্যাতন!
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় মা রুমি আক্তার রুমার পরকীয়ায় বাধা দেয়ায়বিস্তারিত পড়ুন
নিখোঁজের ২০ দিন পর ডোবা থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার !
শরীয়তপুরে নিখোঁজের ২০দিন পরে একটি ডোবা থেকে এক যুবকের লাশবিস্তারিত পড়ুন
শরীয়তপুরে একই পরিবারের পাঁচজনের মধ্যে চারজনই প্রতিবন্ধী; ভাতা পায়না কেউই !
শরীয়তপুর প্রতিনিধি: জেলার ডামুড্যা উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নে এক পরিবারে চারজনবিস্তারিত পড়ুন