পৌর নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে…
আগামী ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে ২৩৪টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ।
প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জেলা বা উপজেলা নির্বাচন অফিস হতে বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারবে। তবে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পৌরসভার বা ওয়ার্ডের ভোটার তালিকার সিডি ক্রয় করতে হবে। প্রতি ওয়ার্ডের ভোটার তালিকার সিডির মূল্য ৫০০ টাকা।
মনোনয়নপত্র : মনোনয়নপত্র তিনটি খণ্ডে বিভক্ত। প্রথম খণ্ডের প্রথম অংশ প্রস্তাবকারীর পূরণ করতে হবে, দ্বিতীয় অংশ সমর্থনকারী পূরণ করবে এবং তৃতীয় অংশ মনোনীত ব্যক্তি পূরণ করবে। মনোনয়নপত্রের দ্বিতীয় খণ্ডে রয়েছে- প্রার্থীর ব্যক্তিগত তথ্যাদি। এ ছাড়া তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম খণ্ড রিটার্নিং অফিসারকে পূরণ করতে হবে।
মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করতে হবে- হলফনামা (প্রার্থীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যায়িত সনদপত্র সংযুক্ত করতে হবে); নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহ করার জন্য সম্ভাব্য অর্থপ্রাপ্তির উৎস বা উৎসসমূহ ও সম্ভাব্য ব্যয়ের বিবরণী; ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদের কপি এবং সম্পদ বিবরণী সম্বলিত সর্বশেষ দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নের রসিদের কপি; জামানতের টাকা জমাদনের ট্রেজারি চালান বা তফসিলি ব্যাংকের পে-অর্ডার অথবা পোস্টাল অর্ডারের কপি এবং রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীর ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে প্রার্থিতার স্বপক্ষে ১০০ জন ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা।
একজন প্রার্থী শুধু একটি পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেন। একাধিক পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করলে সব মনোনয়নপত্র বাতিল হবে। তবে একই পদে একাধিক মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন। এক্ষেত্রে জামানতের টাকা শুধু একটি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিলেই হবে।
প্রস্তাবক ও সমর্থক : কোনো ভোটার প্রস্তাবকারী হিসাবে অথবা সমর্থনকারী হিসাবে মেয়র অথবা সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর বা সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদের একটির অধিক মনোনয়নপত্রে তার নাম ব্যবহার করবেন না। যদি কোনো ভোটার একই পদে একাধিক মনোনয়নপত্রে তার নাম ব্যবহার করেন, তা হলে এইরূপ সকল মনোনয়পত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।
জামানত
মেয়র : মেয়র নির্বাচনের ক্ষেত্রে, প্রতিটি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে, অনধিক ২৫ হাজার ভোটার সম্বলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য ১৫ হাজার টাকা, ২৫ হাজার ১ হতে ৫০ হাজার ভোটার সম্বলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য ২০ হাজার টাকা, ৫০ হাজার ১ হতে ০১ লাখ ভোটার সম্বলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য ২৫ হাজার টাকা এবং এক লাখ বা তদূর্ধ্ব ভোটার সম্বলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য ৩০ হাজার টাকা জমাদানের প্রমাণ স্বরূপ ট্রেজারি চালান বা কোনো তফসিলি ব্যাংকের পে-অর্ডার বা পোস্টাল অর্ডার জমা জমা দিতে হবে।
কাউন্সিলর : কাউন্সিলর (সাধারণ ও সংরক্ষিত) নির্বাচনের ক্ষেত্রে, প্রতিটি মনোনয়পত্রের সঙ্গে ৫ হাজার টাকা জমাদনের প্রমাণ স্বরূপ ট্রেজারি চালান বা তফসিলি ব্যাংকের পে-অর্ডার বা পোস্টাল অর্ডার জমা দিতে হবে।
জামানতের টাকা ‘০৬/০৬০১/০০০১/৮৪৭৩’ এই খাতে জমা দিতে হবে। কোনো প্রার্থীর অনুকূলে একাধিক মনোনয়নপত্র দাখিল করা হলে, একাধিক জামানতের প্রয়োজন হবে না।
দলীয় প্রার্থীর জন্য রাজনৈতিক দলের প্রত্যয়নপত্র : রাজনৈতিক দল মনোনীত মেয়র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাদের কাছ হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরিত এই মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র থাকতে হবে। (মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দলের মনোনয়ন সংযুক্তি-২ অনুসারে)। কোনো রাজনৈতিক দল কোনো পৌরসভায় একাধিক ব্যক্তিকে মেয়র পদে মনোনয়ন দিতে পারবে না। একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে সংশ্লিষ্ট পৌরসভায় ওই দলের সকল প্রার্থীর মনোনয়পত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম, পদবী, নমুনা স্বাক্ষরসহ একটি পত্র নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পাঁচ দিনের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের কাছে এবং ওই পত্রের একটি অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে হবে।
নির্বাচনের প্রচারের সময় : পৌরসভা নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিকদল, প্রার্থী বা তাদের পক্ষে কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান ভোট গ্রহণের দিনের ৩ (তিন) সপ্তাহ সময়ের পূর্বে নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন