প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ‘অস্ত্রের মুখে’ তরুণীকে গণধর্ষণ

‘অস্ত্রের মুখে’ গণধর্ষণের শিকার এক তরুণী (১৭) ধর্ষকদের প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে থানায় মামলা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে।
সোমবার দুপুরে মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ওই তরুণী।
ওই তরুণীর কাছে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা শোনার পর তা সাংবাদিকদের জানান আশুলিয়া থানার ওসি মহসিনুল কাদির।
পুলিশ হেফাজতে থাকা ওই তরুণী সাংবাদিকদের জানায়, তাকে ধর্ষণের পর হাতে টাকা ধরিয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দিতে থানায় পাঠায় ধর্ষকরা। এজন্য মেডিকেল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাও করায় তারা।
ওই তরুণী জানায়, সে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকার একটি জুতা তৈরির কারখানায় চাকরি করতো। এ সুবাদে ওই এলাকার জোড়া পাম্প সংলগ্ন ‘মেসার্স রেশমা সুজ’ এর মালিক জসীম উদ্দিন ইকবালের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
গত ১২ মে শুক্রবার জসীম তাকে ফোন দিয়ে দেখা করতে বলে। কথামতো ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় অফিসে গেলে জসীম ও তার অফিসের এক কর্মচারী অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
এরপর তাকে নয় হাজার টাকা দিয়ে জসীমের দূরসম্পর্কের এক ভাইয়ের মাধ্যমে ওই রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে ভর্তি করে। সেখান থেকে মেডিকেল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা হয়।
এরপর প্রতিপক্ষ আশুলিয়ার বলিভদ্র মধুপুর বড়টেক এলাকার সাইদুল ইসলাম অনি (৩৩), ইদ্রিস আলী, সাইদুল ইসলাম, শাহিন ও রিফাতে বিরুদ্ধে গণধর্ষণ মামলা দায়েরের জন্য তাকে আশুলিয়া থানায় নিয়ে আসে জসীমের লোকজন।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলার এডিশনাল এসপি আশরাফুল আজীম সোমবার দুপুরে ব্রিফিংয়ে বলেন, ভিকটিম থানা এলাকার নিকটবর্তী বলিভদ্র এলাকায় ধর্ষিত হয়েছে মর্মে জানালে আশুলিয়া থানার ওসি মহসিনুল কাদির ঘটনাস্থল তদন্তের নির্দেশ দিলে ভিকটিম পুলিশের সঙ্গে যেতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে। এরপর একপর্যায়ে সে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়।
তিনি আরও জানান, ওই তরুণীর দেয়া তথ্যমতে, প্রকৃত ঘটনাস্থল গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর চন্দ্রা জোড়া পাম্প এলাকা হওয়ায় আশুলিয়া থানায় একটি জিডি নিয়ে এফআইআর গ্রহণের জন্য ভিকটিমকে কালিয়াকৈর থানায় পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে চন্দ্রার ‘রেশমা সুজে’ গিয়ে মালিক জসীম উদ্দিন ইকবালের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্মৃতি সংসদের গাজীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক। তিনি নালিশি জসীম নন। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম জসীম দেওয়ান। আশুলিয়ার বলিভদ্র এলাকার সাইদুলের নিকট জসীম দেওয়ান ৮২ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। সে-ই (জসীম দেওয়ান) তাদের ফাঁসাতে ওই তরুণীকে দিয়ে এসব করিয়েছে।
তবে জসীম দেওয়ানের পক্ষে মেয়েটিকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ধর্ষণ মামলায় উল্লেখিতদের জড়ানোর কথা স্বীকার করেছেন জসীম ইকবাল।
তবে কে বা কারা ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেছে সে বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন তিনি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

অবিলম্বে তেহরান খালি করার আহ্বান ট্রাম্পের
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়ানোর আগেই তেহরানবাসীদের শহর খালি করারবিস্তারিত পড়ুন