প্রথা মেনে দ্বিতীয় বার বিয়ে করতে চলেছেন হ্যাজেল ও যুবি। তাঁর সাক্ষী থাকবে দেশের সেরা ব্যক্তিত্বরা। তবে গোড়ায় খবর ছিল, ধোনি উপস্থিত থাকবেন না যুবির বিয়েতে।

বিশ্বক্রিকেটের দরবারে সেরা ফিনিশার মানা হয় মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে। অনেক জটিল পরিস্থিতিতেও মাথা ঠাণ্ডা করে খেলে দেশকে সেরার শিরোপা এনে দিয়েছেন বহুবার। ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়কের মুকুটও তাঁরই মাথায়।

অন্যদিকে ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ বা ‘সচিন তেন্ডুলকর’— এই শব্দ দুটোর সঙ্গে কাউকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

প্রায় সাড়়ে পাঁচ ফুট উচ্চতার মানুষটাকে চেনার জন্য ওই শব্দ দুটোর যে কোনও একটাই যথেষ্ট। প্রথমজন বর্তমান এবং দ্বিতীয়জন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম। এই দুই জনপ্রিয় ক্রিকেটারকে একসঙ্গে দেখা যাবে বহুদিন বাদে।

তবে ময়দানে নয়, বিয়ের আসরে। হ্যাঁ, যুবরাজ সিংহ এবং হ্যাজেল কিচের বিয়ে উপলক্ষে তাঁরা এদিন উপস্থিত থাকবেন গোয়ায়।

তবে এই দুই ক্রিকেটার কি‌ছু অন্যরকম পরিকল্পনা করেই পাড়ি জমিয়েছেন গোয়ায়। শুধুমাত্র অতিথি হিসেবে যুবরাজের বিয়েতে যাচ্ছেন না তাঁরা। ‘বরযাত্রী’-র ভূমিকাতেও দেখা যাবে সচিন এবং ধোনিকে। অবশ্য সে কথা স্বয়ং যুবিরও আজানা নয়।

তাই সব বন্দোবস্তও পাকা। ব্যাট হাতে যাঁরা স্টেডিয়াম মাতিয়ে রাখতে দক্ষ, তাঁরা এবার যুবরাজের বিয়ে মাতাতে প্রস্তুত। প্রথা মেনে দ্বিতীয় বার বিয়ে করতে চলেছেন হ্যাজেল ও যুবি। তাঁর সাক্ষী থাকবে দেশের সেরা ব্যক্তিত্বরা। বলা বাহুল্য, সচিন এবং ধোনির উপস্থিতি এই অনুষ্ঠানকে আরও স্মরণীয় করে রাখবে।

গোড়ায় খবর ছিল, ধোনি উপস্থিত থাকবেন না যুবির বিয়েতে। অনেকেই এর মধ্যে অন্য গন্ধ পেয়েছিলেন। কেউ বলেছিলেন যুবির বাবা যোগরাজ সিংহ ছেড়ে কথা বলতেন না ধোনিকে। ছেলে দল থেকে বাদ পড়লেই যোগরাজ আক্রমণ করতেন রাঁচির রাজপুত্রকে।

যুবরাজের বিয়েতে ধোনির অনুপস্থিতির এটাই সম্ভাব্য কারণ বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু আপাতত সব জল্পনা কল্পনার অবসান। ধোনি স্বয়ং উপস্থিত থাকবেন যুবির বিয়েতে। সঙ্গে থাকবেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ও।