প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশের বড় ব্যবধানে হার
নিউজিল্যান্ডের ৩৪১ রান টপকে জিততে হলে রেকর্ডই গড়তে হতো বাংলাদেশকে। কিন্তু জয়ের কাছেও যেতে পারল না মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। প্রথম ওয়ানডেতে ৭৭ রানের হার সঙ্গী করে সিরিজ শুরু করল সফরকারীরা।
ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে ৩৪২ রানের রেকর্ড লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা দেখেশুনেই করেছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। মারার বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে, ছাড়ার দেওয়ার পর ছেড়ে দিয়ে প্রথম ৭ ওভারে দুজন তোলেন ৩০ রান। কিন্তু অষ্টম ওভারে টিম সাউদির একটি শর্ট বল ইমরুলের ব্যাটের কানায় লেগে জমা পড়ে উইকেটকিপার লুক রনকির গ্লাভসে। ২১ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ইমরুল করেন ১৬। বাংলাদেশের স্কোর তখন ১ উইকেটে ৩৪।
প্রস্তুতি ম্যাচে রানে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে ওয়ানডে দলে ফিরেছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু প্রথম ওয়ানডেতে হতাশই করলেন বাঁহাতি ওপেনার। জেমস নিশামের বলে মিড অফে কেন উইলিয়ামসনকে ক্যাচ দেওয়ার আগে সৌম্যর ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১ রান। একই ওভারে ডাক মেরে ফেরেন মাহমুদউল্লাহও। তখন ৪৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ।
দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েছিলেন তামিম। তবে সেটিও খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ১৮তম ওভারে নিশামের বলে তামিম মিচেল স্যান্টনারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেল ভেঙে যায় ৩৩ রানের জুটি। ৫৯ বলে ৫ চারে তামিম করেন ৩৮।
এরপর মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ভালোই এগিয়ে নিচ্ছিলেন সাকিব। ২৭তম ওভারে স্যান্টনারের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৫০ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন এই বাঁহাতি। পরের ওভারে লোকি ফার্গুসনকে লন অনের ওপর দিয়ে আছড়ে ফেলেন গ্যালারির দর্শকদের মাঝে। কিন্তু পরের বলে আবার ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে মিড উইকেটে সাউদির হাতে ধরা পড়েন সাকিব। ৫৪ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় সাকিব ৫৯ করে ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ১৪৪।
ব্যাটিং পজিশন পাল্টে সাতে নেমে ব্যর্থ হয়েছেন সাব্বির রহমান। ফার্গুসনের বলে বোল্টকে ক্যাচ দেওয়ার আগে এক ছক্কায় সাব্বির করেন ১৬। তবে মোসাদ্দেক হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোর ২০০ পার করেন মুশফিক। দুজন দলকে ভালোই এগিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু ৩৮তম ওভারে স্যান্টন্যারের বলে কঠিন একটি সিঙ্গেল নিতে গিয়ে ডাইভ দিয়ে চোট পান মুশফিক। ফিজিওর সেবাশুশ্রূষা নিয়ে একটি বল খেলার পর আর মাঠে থাকতে পারেননি টেস্ট অধিনায়ক। ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ৪৮ বলে ৪২।
এর আগে টম ল্যাথামের ১৩৭ আর কলিন মানরোর ৮৭ রানের সুবাদে নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে তোলে ৩৪১। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে ১৯৯০ সালে শারজায় দুই দলের প্রথম দেখায় কিউইরা ৪ উইকেটে করেছিল ৩৩৮।
হ্যাগলি ওভালে ৩০০ রান তাড়া করে জিততে পারেনি কোনো দল। বাংলাদেশ নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসেই সর্বোচ্চ ৩১৯ রান তাড়া করে জিততে পেরেছে। সেটি অবশ্য নিউজিল্যান্ডের মাটিতেই, ২০১৫ বিশ্বকাপে নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। আজ সেরকম কিছুর পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারবেন তামিম-সাকিবরা? কাজটা বেশ কঠিন। তাদের যে সামলাতে হবে ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদির মতো গতি তারকাদের!
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন