প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায় স্মার্ট কার্ড
বর্তমান কমিশনের অধিনে নির্বাচন, বহুল কাঙ্ক্ষিত উন্নত মানের স্মার্টকার্ড সময় মতো দেওয়া থেকে শুরু করে কোনটিতেই কথা রাখতে না পরলেও এবার সরকারের তৎপরতায় নাগরিকদের হাতে স্মার্ট দিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন ইসি।
সাম্প্রতিক সময়ে স্মার্ট কার্ড নিয়ে ইসির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে একটি চিঠি পাঠনো হয়। এর পর থেকে নির্বাচন কমিশনে তোর জোর শুরু হয়। এখন অল্প কিছু কার্ড হলেও বিতরণ শুরু করতে চায় ইসি। সে ক্ষেত্রে প্রধান মন্ত্রীর অপেক্ষায় রয়েছে ইসি। প্রধানমন্ত্রী সময় দিলে তার হাত দিয়ে প্রথম স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু করতে চায় ইসি। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্মার্ট কার্ড জনগণের হাতে তুলে দেয়ার কথা ছিলো ইসির। ওই তারিখে না পেরে, পরে ইসি সচিব ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ স্মার্ট কার্ড তুলে দেয়ার ঘোষণা দেন। কিন্তু এ তারিখেও সম্ভব হয়নি। পরে পহেলা বৈশাখে স্মার্ট কার্ড দেয়ার সম্ভাবনার কথা জানানো হয়। কিন্তু পহেলা বৈশাখ পার হয়ে আবার এক পহেলা বৈশাখ এলেও এ ব্যাপারে আর কোনো কথা বলতেই রাজি হচ্ছিল না ইসি।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখন কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না। দিন তারিখ ঠিক হলে আমরা মিডিয়াকে জানিয়ে দেব।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন বলেন, আমাদের সবকাজ প্রায় শেষের দিকে। কিছু সমস্যার কারণে স্মার্ট কার্ড ভোটারদের হাতে আগে দিতে চাইলেও এখনো পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে আশা করি এ বছর দিতে পারব।
অন্যদিকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক(অপারেশন) সৈয়দ মোহাম্মাদ মুসা বলেন, ‘আমরা শীঘ্রই স্মার্ট কার্ড নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করতে যাচ্ছি। স্মার্ট কার্ড তৈরি করতে মেশিন বসানো শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কার্ড প্রথমে ২০১৪ সালের হালনাগাদে অন্তর্ভুক্ত যারা তাদের দেয়া হবে। এ ছাড়া ঢাকার নাগরিকরা স্মার্ট কার্ড আগে পাবেন। এর পর পযায়ক্রমে সিটি করপোরেশনগুলোতে দেয়া হবে। পরবর্তীতে জেলা-উপজেলাগুলোতে বিতরণ করা হবে।’
দেশের ভোটারযোগ্য সকল নাগরিকদের উন্নত মানের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের লক্ষ্যে আইডিইএ প্রকল্প হাতে নেয় নির্বাচন কমিশন। তবে এক বছর ধরে স্মার্ট কার্ড প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হলেও বারবার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও নাগরিকের হাতে দিতে পারেনি ইসি।
আইডিইএ প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সালের জুন মাসের মধ্যে সাড়ে নয় কোটি নাগরিকের হাতে স্মার্টকার্ড পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল। এ জন্যে উৎপাদন শুরুর কথা ছিল ২০১৪ সালের অগস্টেই। কিন্তু কোনো কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি না হওয়ার কারণে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়নি।
২০১৫ সালে ১৪ জানুয়ারিতে স্মার্ট কার্ড তৈরি ও বিতরণের বিষয়ে ফ্রান্সের ওবার্থার টেকনোলজিস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে ইসি। সেই চুক্তি অনুযায়ী স্মার্ট কার্ড উৎপাদনের জন্য সেপ্টেম্বরে ১০টি মেশিন বসানো শুরু হয় এনআইডি উইংয়ে। এর পরেই এনআইডি সিপে তথ্য পার্সোনালাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ডিসেম্বরে স্মার্টকার্ড উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়। ১০টি মেশিনের মধ্যে একটি বিশেষ কাজের জন্য ব্যবহার করা হবে। এখন পর্যন্ত পুরোদমে সব মেশিনে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়নি।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সারা দেশে ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৯৮ হাজার ৭২ জন ভোটার রয়েছে। এদের সবাইকে পর্যায়ক্রমে স্মার্ট কার্ড দেওয়ার কথা ইসির।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
১ লাখ ৪০ হাজার ছাড়াল স্বর্ণের ভরি
দেশের বাজারে ফের স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্সবিস্তারিত পড়ুন
জাতিসংঘ: বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যে ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে চরমবিস্তারিত পড়ুন
টাঙ্গাইলে বাসার সামনে থেকে পুলিশ সুপারের মোবাইল ফোন ছিনতাই
টাঙ্গাইলে বাসার সামনে থেকে ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপারবিস্তারিত পড়ুন