প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনূস সেন্টার
নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে সম্প্রতি জাতীয় সংসদে দেওয়া প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনূস সেন্টার।
ইউনূস সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে ‘বেশ কিছু ও অসত্য মন্তব্য’ করেছেন দাবি করে শনিবার ইউনূস সেন্টারের ওয়েবসাইটে ওই প্রতিবাদপত্র প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, ‘এসব অভিযোগের অনেকগুলোই এর আগেও একাধিকবার করা হয়েছে এবং প্রতিবারই ইউনূস সেন্টার এর জবাব দিয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি অভিযোগের জবাব আবারও তুলে ধরছি। ২০১১ সাল থেকেই এই অভিযোগগুলোর অধিকাংশই বার বার তোলা হচ্ছে এবং প্রতিবারই এসব অভিযোগের পূর্ণ জবাব আমরা দিয়েছি।’
ইউনূস সেন্টারের প্রতিবাদপত্রে আরও বলা হয়, ‘ইউনূস পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন প্রত্যাহারে প্রভাব খাটিয়েছিলেন, এই অভিযোগ প্রফেসর ইউনূস অতীতেও সুস্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী এবার এই কাহিনীটি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করলেন। এবারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দাবি করছেন যে, পদ্মা সেতুর অর্থায়ন প্রত্যাহার করতে প্রফেসর ইউনূস একটি পত্রিকার সম্পাদকসহ বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন। কাহিনীটি যেভাইে বলা হোক না কেন, প্রফেসর ইউনূস এই কাহিনী বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন।’
ইউনুসের গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ হারানোর বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত শাসনামলে ইউনূসের বয়স ৬০ বছর পার হলেও সরকার কখনোই বয়সের প্রসঙ্গটি তোলেনি। গ্রামীণ ব্যাংকের আইনেও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অবসরের বয়সসীমা সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকও তাদের প্রতিবেদনে অবসরের বয়সসীমা নিয়ে কখনো কোনো প্রশ্ন তোলেনি। কিন্তু ২০১১ সালে প্রসঙ্গটি তোলা হয়।’
গ্রামীণ ফোন নিয়ে প্রধামন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে ইউনূস সেন্টার বলেছে, ‘সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও এজেন্সিতে রক্ষিত এ সংক্রান্ত সকল দলিল পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে, এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি বক্তব্যই ভুল। গ্রামীণ ফোনের জন্ম হয়েছিল একটি দীর্ঘ আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। এ সংক্রান্ত কোনো দলিলই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করবে না।’
কর নিয়ে ইউনুস সম্পর্কে প্রধামন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইউনূস সেন্টার বলেছে, ‘কর এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রফেসর ইউনূস বরাবরই তার কর পুরোপুরি ও সময়মতো পরিশোধ করে আসছেন। তিনি প্রতি বছর বেশ বড় অংকের টাকা কর দিয়ে থাকেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের ফ্লোরে দাঁড়িয়ে জাতিকে ভুল তথ্য দিয়েছেন। প্রফেসর ইউনূস কখনোই কোনো অজুহাতে তার উপর ধার্য ন্যায্য কর এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেননি। তার কর সংক্রান্ত ফাইলগুলোতে ভুল খুঁজে বের করতে সেগুলো বার বার তদন্ত করা হয়েছে, কিন্তু প্রতিবারই ফাইলগুলো নিষ্কণ্টক পাওয়া গেছে। পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী, তার ও তার স্ত্রীর সাথে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জমা দিতে দেশের সকল ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ব্যাংকগুলোর তথ্য থেকে নতুন কিছু বেরিয়ে আসেনি।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন
যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন